অ্যান্টার্কটিকায় কম বরফ জমার রেকর্ড

অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশের চারপাশ ঘিরে রেখেছে অ্যান্টার্কটিক মহাসাগর বা সাউদার্ন ওশেন। অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশ পুরোটাই বরফের সমুদ্রে আচ্ছাদিত। শীতকালে এখানে সবচেয়ে বেশি বরফ জমাট বাঁধে। কিন্তু সোমবার মার্কিন স্যাটেলাইটের প্রাথমিক তথ্য জানিয়েছে, এবারের শীতে সবচেয়ে কম বরফ দেখা যাচ্ছে অ্যান্টার্কটিক মহাসাগরে।

কিছুদিনের মধ্যেই পৃথিবীর দক্ষিণ এই গোলার্ধ যখন বসন্তে গড়াবে, ঠিক এ সময় যুক্তরাষ্ট্রের ‘ইউএস ন্যাশনাল স্নো অ্যান্ড আইস ডেটা সেন্টার’ (এনএসআইডিসি) ১০ সেপ্টেম্বর এক বিবৃতিতে জানিয়েছে যে অ্যান্টার্কটিক মহাসাগরে এ বছর বরফের সর্বোচ্চ আকার ছিল ১ কোটি ৬৯ লাখ ৬০ হাজার বর্গকিলোমিটার। ১৯৭৯ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত বরফ জমাটের সর্বনিম্ন রেকর্ড এটি। এ বছর জমাট বাঁধা বরফের আয়তন আগের রেকর্ডের চেয়ে প্রায় ১০ লাখ বর্গকিলোমিটার কম।

অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশে শীতকালে সামুদ্রিক বরফ জমে, আর তা মার্চ থেকে অক্টোবর পর্যন্ত বিস্তৃত হয়। তাই ধারণা করা হচ্ছে যে ১০ সেপ্টেম্বরের পরিসংখ্যানই সম্ভবত এ বছরের সর্বোচ্চ রেকর্ড হয়ে থাকবে।

যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল স্নো অ্যান্ড আইস ডেটা সেন্টারের গবেষক ওয়াল্টার মেইয়ার বলেন, এটি অ্যান্টার্কটিকের এ যাবৎকালের সব রেকর্ডের মধ্যে সর্বনিম্ন।

এনএসআইডিসি আরও জানিয়েছে, এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে (গ্রীষ্মকাল) অ্যান্টার্কটিক মহাসাগরের জমাট বাঁধা বরফ গলে ১৭ লাখ ৯০ হাজার বর্গকিলোমিটারে নেমে এসেছে, এটিও একটি রেকর্ড।

এদিকে পৃথিবীর উত্তর গোলার্ধে গ্রীষ্মকাল আসার আগেই আর্কটিক সাগরের বরফ গলে ৪২ লাখ ৩০ হাজার বর্গকিলোমিটারে পৌঁছেছে। এটিও গত ৪৫ বছরের ষষ্ঠ সর্বনিম্ন।

সমুদ্রের ওপরের স্তরে তাপমাত্রা বৃদ্ধি তথা বৈশ্বিক উষ্ণায়নের কারণে বরফ গলছে বলে ধারণা এনএসআইডিসির। তবে বিজ্ঞানীরা এখনো বরফ জমা কমে যাওয়ার কারণ চিহ্নিত করার চেষ্টা করছেন।