কফিনে শুয়ে শ্বাস নেওয়া সেই নারী মারা গেছেন

ইকুয়েডরে নিজের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার আগমুহূর্তে কফিনে শুয়ে থাকা এক নারী নিঃশ্বাস নিয়ে শোরগোল ফেলে দিয়েছিলেন
প্রতীকী ছবি: রয়টার্স

দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ইকুয়েডরে নিজের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার আগমুহূর্তে কফিনে শুয়ে থাকা এক নারী শ্বাস নিয়ে শোরগোল ফেলে দিয়েছিলেন। পরে কফিন থেকে বের করে ওই নারীকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর বাঁচতে পারেননি তিনি। হাসপাতালে ওই নারীর মৃত্যু হয়েছে।

ওই নারীর নাম বেলা মনতোয়া। তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর। ৯ জুন ইকুয়েডরের বাবাহোয়ো শহরের একটি হাসপাতালের চিকিৎসকেরা বেলাকে মৃত ঘোষণা করেন।

পরে স্বজনেরা বেলার ‘মরদেহ’ বাড়িতে নিয়ে যান। অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার প্রস্তুতি নেন। মরদেহ কয়েক ঘণ্টা কফিনে রাখা হয়। তবে কফিনের ঢাকনা খোলা ছিল। সমাধিস্থ করার আগে শোকার্ত স্বজনেরা যখন বেলার কাপড় বদলে দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। হঠাৎ তাঁরা দেখেন কফিনে শুয়ে বেলা জোরে জোরে শ্বাস নিচ্ছেন।

আরও পড়ুন

দ্রুত কফিন থেকে বের করা হয় বেলাকে। নেওয়া হয় হাসপাতালে। চিকিৎসকেরা তাঁকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে রেখে চিকিৎসা দেন। কিন্তু স্থানীয় সময় গত শুক্রবার (১৬ জুন) মারা যান বেলা। ইকুয়েডরের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, হাসপাতালে আনার এক সপ্তাহের মাথায় বেলা মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণে মারা গেছেন।

এর আগে বেলার সঙ্গে ঘটে যাওয়া ওই ঘটনা তদন্তে একটি কমিটি গঠন করেছে ইকুয়েডরের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এক বিবৃতিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, বেলার কার্ডিওরেসপিরেটরি অ্যারেস্ট হয়েছিল। এর অর্থ, তাঁর হৃদ্‌যন্ত্রের কার্যকারিতা একেবারে কমে গিয়েছিল। তিনি চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছিলেন না। এ কারণে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সংবাদপত্রের সঙ্গে আলাপে বেলার ছেলে গিলবার বারবেরা বলেন, ‘এবার আমার মা সত্যি সত্যিই মারা গেলেন। আমার জীবন আর আগের মতো থাকবে না।’

শুক্রবার বেলাকে সমাহিত করা হয়েছে। আগেরবার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার জন্য যেখানে নেওয়া হয়েছিল, এবার সেখানেই বেলার অন্তিম কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে।