‘ছোট স্বৈরশাসকের’ বিরুদ্ধে জয়ের আশা লুলার

জইর বলসোনারো ও লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা
ফাইল ছবি: রয়টার্স

প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে ভোট দিয়েছেন ব্রাজিলবাসী। রোববার স্থানীয় সময় সকাল আটটায় শুরু হয়ে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত চলবে ভোট গ্রহণ। ভোট গ্রহণ শুরুর পরপরই ভোট দেন দুই প্রার্থী জইর বলসোনারো ও লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা। খবর রয়টার্স ও এএফপির।

ব্রাজিলের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের সাও বেরনার্দো দো ক্যাম্পো শহরে ভোট দেওয়ার পর সাবেক প্রেসিডেন্ট ও বামপন্থী প্রার্থী লুলা সাংবাদিকদের বলেন, ‘দেশজুড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন নিয়ে আমি এই নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছি। আশা করছি, ছোট স্বৈরশাসকের (বলসোনারো) বিরুদ্ধে চূড়ান্ত জয় পাব।’

অন্যদিকে রিও ডি জেনিরোতে ভোট দিয়েছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট বলসোনারো। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি চূড়ান্ত জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী। আর এটাই ব্রাজিলের জন্য সবচেয়ে ভালো হবে। আজ ব্রাজিলের জয় হবে।’ রিও ডি জেনিরো শহরে বলসোনারোর সমর্থকেরা জয় উদ্‌যাপনের প্রস্তুতি নিয়েছেন।

আরও পড়ুন

২ অক্টোবর ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রথম দফার ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ওই ভোটে লুলা পান ৪৮ দশমিক ৩ শতাংশ ভোট। বলসোনারো পান ৪৩ দশমিক ৩ শতাংশ। তবে নিয়ম অনুযায়ী, কোনো প্রার্থী প্রয়োজনীয় ৫০ শতাংশ ভোট না পাওয়ায় নির্বাচন দ্বিতীয় দফায় গড়ায়।

আরও পড়ুন

দ্বিতীয় দফার ভোট গ্রহণের আগে ডেটাফোলহা ইনস্টিটিউটের সর্বশেষ জরিপে লুলা এগিয়ে রয়েছেন। তবে ব্যবধান অনেক কম। জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ৫২ শতাংশ লুলাকে ও ৪৮ শতাংশ বলসোনারোকে সমর্থন দিয়েছেন। তাই বিশ্লেষকদের মত, হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হতে যাচ্ছে দুই প্রার্থীর।

আরও পড়ুন

ডানপন্থী বলসোনারো কিংবা বামপন্থী লুলা যেই জয়ী হোন, আগামী জানুয়ারিতে বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ ব্রাজিলের রাষ্ট্রপ্রধানের দায়িত্ব নেবেন তিনি। তবে তাঁকে কিছু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। নতুন প্রেসিডেন্টের সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ করোনা-পরবর্তী সময়ে বিপর্যস্ত অর্থনীতির গতি ফেরানো, নিম্ন আয়ের মানুষের কষ্ট লাঘব করা। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার প্রতিশ্রুতি দিয়েই ভোটের লড়াইয়ে নেমেছেন দুই প্রার্থী।

আরও পড়ুন