এমসি কলেজের সাবেক শিক্ষার্থীদের বনভোজন

উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে সিলেট সরকারি এমসি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের সাবেক শিক্ষার্থীদের বনভোজন।
৮ সেপ্টেম্বর ব্রঙ্কসের ২০০ টিফফানা স্ট্রিটের বেরেট্রো পয়েন্ট পার্কের খোলা মাঠে অনুষ্ঠিত হয় এ বনভোজন। নিউইয়র্কসহ আমেরিকার বিভিন্ন স্থানে বসবাসরত সিলেট এমসি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের শতাধিক সাবেক শিক্ষার্থী ও তাঁদের পরিবারের সদস্যরা বনভোজনে যোগ দেন।
এদিন সকাল থেকেই বনভোজন স্থলে সমবেত হন এমসি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের শতাধিক সাবেক শিক্ষার্থী। মেতে ওঠেন বর্ণিল সব আয়োজনে। এক আনন্দঘন আড্ডামুখর পরিবেশ তৈরি হয় পুরো পার্কজুড়ে। এ সময় তাঁরা কলেজজীবনের নানা স্মৃতিচারণসহ জম্পেশ আড্ডায় মেতে ওঠেন।
ফ্লাওয়ার অব দ্য ইস্ট খ্যাত সিলেট এমসি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের সাবেক শিক্ষার্থীদের বনভোজনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয় রঙিন বেলুন উড়িয়ে। এরপর শুরু হয় বনভোজনের বিভিন্ন কার্যক্রম। ইভেন্ট কমিটির আহ্বায়ক তোফায়েল আহমদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং প্রধান সমন্বয়কারী আবদুর রহিম বাদশা, সদস্যসচিব হাবিব ফয়েজি, মুহাম্মদ আলী ও সদস্য মাসুম আহমদের পরিচালনায় কলেজের সাবেক শিক্ষার্থীদের মধ্যে বনভোজনে অন্যদের মধ্যে অংশ নেন আমেরিকাপ্রবাসী মোহাম্মদ কালাম, আবদুল কাইউম, তোফায়েল চৌধুরী, ওসমান গনি কায়কোবাদ, মোহাম্মদ আফতাব আলী, মজির চৌধুরী, মোহাম্মদ সুলতান কবির, মজনুর রহমান, ফয়জুর রহমান, মোহাম্মদ হোসাইন, এনাম উদ্দীন, আজিজ আহমদ চৌধুরী, ইফতেখার সিরাজ, শাহিন আজমল, এস এম গোলাম রব্বানী চৌধুরী, ইব্রাহীম চৌধুরী, জাহাঙ্গীর করিম, মুহাম্মদ কবির, আমিনুল হক চুন্নু, মুহাম্মদ ফখরুল ইসলাম, মুহাম্মদ এন আহিয়া, জাহাঙ্গীর আলম, মুহাম্মদ আবদুর রহিম বাদশাহ, এ এস এম নাজমুল হুদা, মুহাম্মদ মুহিত, ইয়াহিয়া বি চৌধুরী, আবদুল আহাদ, মুরাকিব শামিম, কাজী অদুদ আহমেদ, মঞ্জুর আহমেদ চৌধুরী, এম এ করিম জাহাঙ্গীর, সাখাওয়াত আলী, মঈনুল হক হেলাল, ফরহাদ কবির, আবদুল আহাদ, ইমরান আলী, মাহবুব আহমদ, এম এ মুহিত, সাইফুর রহমান, আনিসুর রহমান, ফখরুল ইসলাম, জালাল চৌধুরী, রুহেল চৌধুরী, লতিফ এ চৌধুরী, মুহাম্মদ সেবুল খান মাহবুব, আবদুর রউফ, আবদুল মনাফ, মুহাম্মদ নাসির উদ্দীন, সারওয়ার চৌধুরী, ইফজাল আহমদ, মুহাম্মদ বজলুর রশিদ চৌধুরী, মুহাম্মদ আবু সাঈদ, খালিদ ইসলাম, তানভির আহমদ, মুহাম্মদ উদ্দিন, মুহাম্মদ আলী, আবদুল হাকিম, সুব্রত তালুকদার, মুহাম্মদ মেহেদি হাসান, ফারহানা নীপা, খাদিজা ইসলাম, ইমরান উদ্দিন, সাহিদুল হাসান প্রমুখ।
কলেজের সাবেক শিক্ষকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এ এস এম এ কে সাব্রী সাবেরীন ও বোরহান উদ্দিন আহমেদ। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন ইউরোপিয়ান বাংলাদেশি ফেডারেশন অব চেম্বার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রেসিডেন্ট ওয়ালী তসর উদ্দিন, অ্যাটর্নি ব্রুস ফিশার, কমিউনিটি অ্যাকটিভিস্ট মোহাম্মদ এন মজুমদার, বদরুন নাহার খান, সিরাজ উদ্দিন, আলমাস আলী, সাইদুর রহমান, সিপিএ আহাদ আলী, আবদুল গাফফার চৌধুরী, হারুন আলী, শাহানারা আলী, জাহানারা বেগম, মনোয়ারা বেগম, ফেরদৌসী বেগম, অলিউর রহমান, ফরিদ আলম পাঠান, বোরহান উদ্দিন, মঞ্জুর চৌধুরী জগলুল, এ ইসলাম মামুন, মামুন রহমান, রেক্সোনা মজুমদার, মাকসুদা আহমেদ, কাজী জাকির, কামাল আহমেদ, আবুল খায়ের আখন্দ প্রমুখ।
বনভোজনে আকর্ষণীয় র্যাফল ড্র ছাড়াও ছিল বিভিন্ন খেলাধুলার আয়োজন। এর মধ্যে লাল-সবুজের তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ফুটবল খেলায় লাল দল ১-০ গোলে জয় লাভ করে। সবশেষে ছিল র্যাফল ড্র।
শেষে খেলাধুলায় অংশগ্রহণকারী এবং র্যাফল ড্র বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। র্যাফল ড্রতে ছিল ৫৫ ইঞ্চি টেলিভিশন (আল আকসা), ৪৩ ইঞ্চি টেলিভিশন (মোহাম্মদ শমসের আলী), আইপ্যাডসহ (আয়োজক) বেশ কয়েকটি আকর্ষণীয় পুরস্কার।
সিপিএ আহাদ আলীর সৌজন্যে ফুটবল খেলোয়াড়দের জার্সি দেওয়া হয়। স্টার্লিং ফার্মেসির সৌজন্যে সবাইকে এমসি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের মনোগ্রাম খচিত কাপ উপহার দেওয়া হয়। বনভোজনে অতিথি ও কর্মকর্তাদেরও বিশেষ পুরস্কার দেওয়া হয়।
অতিথিরা আনন্দঘন আয়োজনের জন্য উদ্যাপন কমিটিকে বিশেষ ধন্যবাদ জানান। বক্তারা তাঁদের বক্তব্যে সিলেট এমসি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের ১২৭ বছরের গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকার কথা তুলে ধরেন। তাঁরা বলেন, ঐতিহ্যবাহী এ কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নানা ভাবে অবদান রেখে চলেছেন।
বনভোজন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হওয়ায় ইভেন্ট কমিটির আহ্বায়ক তোফায়েল আহমদ চৌধুরী, প্রধান সমন্বয়কারী আবদুর রহিম বাদশা এবং সদস্যসচিব হাবিব ফয়েজি সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।