যুক্তরাষ্ট্রের অর্ধেক ভোটারই মনে করেন, গাজায় ইসরায়েল গণহত্যা চালাচ্ছে। একটি জরিপের ফলাফল থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
কুইনিপিয়াক বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই জরিপ অনুযায়ী, যাঁরা মনে করেন গণহত্যা ঘটছে, তাঁদের মধ্যে ৭৭ শতাংশ ডেমোক্র্যাট ও ৫১ শতাংশ স্বাধীন ভোটার। গতকাল বুধবার জরিপের ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে।
এদিকে ভোটারদের সহমর্মিতার হার ফিলিস্তিন ও ইসরায়েল পক্ষে প্রায় সমান ভাগ হয়ে গেছে। জরিপে ৩৭ শতাংশ বলেছেন, তাঁরা ফিলিস্তিনের প্রতি বেশি সহমর্মী। আর ৩৬ শতাংশ বলেছেন, তাঁরা ইসরায়েলের প্রতি বেশি সহমর্মী।
অন্যদিকে রিপাবলিকানদের বড় অংশ অর্থাৎ ৬৪ শতাংশ মনে করেন না যে ইসরায়েল গণহত্যা চালাচ্ছে। এ মতের বিপরীত অবস্থানে আছেন ২০ শতাংশ।
জরিপের ফলাফল অনুযায়ী, প্রতি ১০ মার্কিন ভোটারের মধ্যে ছয়জন চান না ওয়াশিংটন ইসরায়েলকে আরও সামরিক সহায়তা পাঠাক।
এদিকে ভোটারদের সহমর্মিতার হার ফিলিস্তিন ও ইসরায়েল পক্ষে প্রায় সমান ভাগ হয়ে গেছে। জরিপে ৩৭ শতাংশ বলেছেন, তাঁরা ফিলিস্তিনের প্রতি বেশি সহমর্মী। আর ৩৬ শতাংশ বলেছেন, তাঁরা ইসরায়েলের প্রতি বেশি সহমর্মী।
কুইনিপিয়াক বিশ্ববিদ্যালয় ২০০১ সালের ডিসেম্বর থেকে মার্কিন ভোটারদের কাছে এ সহমর্মিতা নিয়ে প্রশ্ন করছে। সর্বশেষ সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, এখন পর্যন্ত ফিলিস্তিনিদের প্রতি সহমর্মিতার হার সবচেয়ে বেশি এবং ইসরায়েলিদের প্রতি সহমর্মিতার হার সবচেয়ে কম।
ফিলিস্তিনের প্রতি সমর্থন বাড়ছে, আর ইসরায়েলকে সামরিকভাবে অর্থসহায়তা করার ইচ্ছা হঠাৎ কমছে। গাজায় ইসরায়েল যেভাবে সামরিক অভিযান চালাচ্ছে, তার তীব্র সমালোচনায় মানুষ এমন একটি শব্দ ব্যবহার করছে, যা খুবই কুখ্যাত (সেটি হলো ‘গণহত্যা’)।
কুইনিপিয়াক বিশ্ববিদ্যালয়ের সমীক্ষা বিশ্লেষক টিম ম্যালয় বলেন, ‘ফিলিস্তিনের প্রতি সমর্থন বাড়ছে, আর ইসরায়েলকে সামরিকভাবে অর্থসহায়তা করার ইচ্ছা হঠাৎ কমছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘গাজায় ইসরায়েল যেভাবে সামরিক অভিযান চালাচ্ছে, তার তীব্র সমালোচনায় মানুষ এমন একটি শব্দ ব্যবহার করছে, যা খুবই কুখ্যাত (সেটি হলো ‘গণহত্যা’)।’
জরিপে ১ হাজার ২২০ জন স্বেচ্ছা–পরিচয় দেওয়া নিবন্ধিত ভোটারকে প্রশ্ন করা হয়েছিল। জরিপের ফলাফলের ত্রুটির হার ৩ দশমিক ৪ শতাংশ।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ও হিউম্যান রাইটস ওয়াচসহ বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন ইসরায়েলকে গাজায় গণহত্যা চালানোর অভিযোগে অভিযুক্ত করেছে। তবে দেশটির সরকার তা অস্বীকার করেছে।
গত বছরের জানুয়ারিতে আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) এক সিদ্ধান্তে বলেন, দক্ষিণ আফ্রিকা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার মামলা চালাতে পারে এবং ফিলিস্তিনিদের ‘গণহত্যা থেকে সুরক্ষার যৌক্তিক অধিকার’ রয়েছে।
গত বছরের জানুয়ারিতে আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) এক সিদ্ধান্তে বলেন, দক্ষিণ আফ্রিকা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার মামলা চালাতে পারে এবং ফিলিস্তিনিদের ‘গণহত্যা থেকে সুরক্ষার যৌক্তিক অধিকার’ রয়েছে।
পরে নভেম্বরে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু, সাবেক ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট ও হামাসের নিহত কমান্ডার মোহাম্মদ দেইফের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।