চীনের সঙ্গে যোগাযোগের পথ খোলা

জো বাইডেন
ছবি: রয়টার্স

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, সংঘাত ঠেকাতে চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের যোগাযোগের পথ খোলা থাকবে। গতকাল রোববার দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় দেশগুলোর জোট আসিয়ানের নেতাদের তিনি এ কথা বলেন। এ সপ্তাহে বিশ্বনেতারা তিনটি বড় সম্মেলনে যোগ দিচ্ছেন। তারই একটি আসিয়ান সম্মেলন গতকাল কম্বোডিয়ায় শেষ হলো। বাইডেন সেখানে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র চীনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে এবং দেশটির মানবাধিকার রেকর্ড নিয়ে কথা বলবে। তবে তিনি তাইওয়ান প্রণালিতে শান্তির গুরুত্ব ও দক্ষিণ চীন সাগরে নৌ চলাচলের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার ওপর জোর দিয়েছেন।

বাইডেন ইউক্রেনে রাশিয়ার নিষ্ঠুর ও অন্যায় আক্রমণ এবং উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার হুমকির নিন্দা জানান। হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন মিয়ানমারের সামরিক শাসকদের আসিয়ানের শান্তির পরিকল্পনা অনুসরণ করার আহ্বানও জানিয়েছেন। হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, আসিয়ান সম্মেলনে বাইডেন চীনের সঙ্গে তীব্র প্রতিযোগিতা করার পাশাপাশি যোগাযোগের পথ খোলা রাখার কথা বলেছেন। প্রতিযোগিতা কখনো যাতে সংঘর্ষে রূপ না নেয়, তা নিশ্চিত করার কথাও বলেন তিনি।

তাইওয়ান ঘিরে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের সম্পর্কে বিরাজ করছে উত্তেজনা। যুক্তরাষ্ট্রের নিম্ন পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফর ঘিরে দুই দেশের মধ্যে তিক্ততা আরও বাড়ে। এ পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার শুরু হওয়া জি–২০ সম্মেলনে মুখোমুখি হবেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং।

বালির সম্মেলনে রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধ ঘিরে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হতে পারে। এরপর ব্যাংককে বিশ্বনেতারা এশিয়া প্যাসিফিক ইকোনমিক কো–অপারেশনে (এপিএসি) যোগ দেবেন।

গতকাল আসিয়ান সম্মেলনে বিশ্বের ১৮টি দেশের নেতারা অংশ নেন। এতে আসিয়ানভুক্ত দেশগুলো ছাড়াও জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, চীন, ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের মতো দেশের নেতারা যোগ দেন।

সামরিকীকরণের অভিযোগ রাশিয়ার

আসিয়ান সম্মেলনে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের প্রতিনিধি হিসেবে যোগ দেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তিনি পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোকে সামরিকীকরণ করার অভিযোগ তোলেন। তিনি বলেন, ভূকৌশলগত যুদ্ধে চীন ও রাশিয়ার স্বার্থকে ঠেকাতে পশ্চিমারা এই পথে হেঁটেছে। নমপেনে এক সংবাদ সম্মেলনে লাভরভ বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও তার সামরিক মিত্র ন্যাটোভুক্ত দেশগুলো এ অঞ্চলে প্রভুত্ব করতে চেষ্টা করছে। তিনি বাইডেনের এশিয়া–প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের কৌশলকে এ অঞ্চলের সহযোগিতার ক্ষেত্রে অন্তর্ভুক্তিমূলক অবকাঠামোকে পাশ কাটানোর চেষ্টা বলে মন্তব্য করেন।

আসিয়ান সম্মেলনে পৃথক আরেক সংবাদ সম্মেলনে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজি বলেন, তিনি চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কেছিয়াংয়ের সঙ্গে গঠনমূলক ও ইতিবাচক আলোচনা করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের মতোই সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে চীনের সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকে। অ্যালবানিজি বলেন, ‘আমরা যেসব ক্ষেত্রে সহযোগিতা করতে পারি, তা নিয়ে আলোচনা করেছি। আলোচনা সব সময় ভালো বিষয়।’

আরও পড়ুন
আরও পড়ুন