পাইলটের সেলফিতে চীনা গোয়েন্দা বেলুন

ককপিট থেকে চীনা গোয়েন্দা বেলুনের সঙ্গে তোলা সেলফি।
ছবি: পেন্টাগনের ওয়েবসাইট থেকে।

যুক্তরাষ্ট্রের আকাশসীমায় চীনা গোয়েন্দা বেলুনের নতুন একটি ছবি প্রকাশ করেছে মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন। ছবিটি চীনা বেলুনের ওপর দিয়ে উড়তে থাকা একটি উড়োজাহাজের পাইলট তুলেছেন। চলতি মাসের শুরুর দিকে ককপিট থেকে ওই সেলফি তোলার এক দিন পরই চীনা বেলুনটি ধ্বংস করে মার্কিন বাহিনী।

আরও পড়ুন

স্থানীয় সময় গতকাল বুধবার ছবিটি প্রকাশ করেছে পেন্টাগন। মার্কিন বাহিনীর লকহেড ইউ-২ গোয়েন্দা বিমানের (ড্রাগন লেডি নামে পরিচিত) ককপিট থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি ওই সেলফি তোলা হয়েছিল।

ওই সময় চীনা বেলুনটি সাউথ ক্যারোলাইনা অঙ্গরাজ্যের আকাশে উড়ছিল ৬০ হাজার ফুট ওপর দিয়ে। আর মার্কিন বিমানবাহিনীর এক আসনের উড়োজাহাজটি নিয়মিত টহলের অংশ হিসেবে ৭০ হাজার ফুটের বেশি ওপর দিয়ে উড়ছিল।

৩ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের আকাশে একটি চীনা গোয়েন্দা বেলুন শনাক্ত হয়। পেন্টাগন জানায়, এর কয়েক দিন আগে থেকেই সেটি মার্কিন সামরিক স্থাপনার ওপর দিয়ে উড়ছিল। পরে এফ-২২ যুদ্ধবিমান থেকে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে বেলুনটি ধ্বংস করে মার্কিন সামরিক বাহিনী। চীনা বেলুনটির ধ্বংসাবশেষ আটলান্টিক মহাসাগরে যুক্তরাষ্ট্রের জলসীমায় পড়ে।

আরও পড়ুন
আরও পড়ুন

যুক্তরাষ্ট্র জানায়, তারা বেলুনের ধ্বংসাবশেষ চীনকে ফেরত দেবে না। জানানো হয়, বিশাল আকৃতির এই বেলুনে সৌরপ্যানেল ছিল, অ্যানটেনা ছিল। মার্কিন প্রশাসনের অভিযোগ, বেলুনটি যুক্তরাষ্ট্রের আকাশে উড়ে গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করছিল। ৪০টি দেশের ওপর দিয়ে উড়ে এসেছিল বেলুনটি।

পরবর্তী সময় যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি দক্ষিণ আমেরিকার আকাশেও শনাক্ত হয় চীনা গোয়েন্দা বেলুন।

অন্যদিকে চীনের দাবি, আবহাওয়া পর্যবেক্ষণের জন্য বেলুনটি আকাশে ওড়ানো হয়েছিল। কিন্তু নির্দিষ্ট পথে না গিয়ে সেটি ভুল করে যুক্তরাষ্ট্রে চলে গেছে। যুক্তরাষ্ট্রের আকাশসীমায় অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে বেলুনটি চলে যাওয়ার ঘটনার জন্য বেইজিং অনুতপ্ত।

আরও পড়ুন

বেলুনটি ধ্বংস করায় যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানায় বেইজিং। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়, এ ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্র মাত্রাতিরিক্ত প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে।

বেলুনকাণ্ডে চীন-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন তাঁর চীন সফর স্থগিত করেন। ব্লিঙ্কেন বলেন, এটা যুক্তরাষ্ট্রের সার্বভৌমত্বের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন, আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী কাজ।

আরও পড়ুন
আরও পড়ুন