নিউ হ্যাম্পশায়ারে ‘প্রত্যাশিত’ জয়ের আগে সমাবেশ করবেন ট্রাম্প

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ২২ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের নিউ হ্যাম্পশায়ারের এক সমাবেশছবি: রয়টার্স

যুক্তরাষ্ট্রের নিউ হ্যাম্পশায়ার অঙ্গরাজ্যে সোমবার সমাবেশ করবেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

যুক্তরাষ্ট্রের ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী বাছাইয়ে মঙ্গলবার নিউ হ্যাম্পশায়ারে ভোট (প্রাইমারি) হবে। এ ভোটের আগে নিউ হ্যাম্পশায়ারে ট্রাম্প তাঁর শেষ সমাবেশ করবেন।

বিভিন্ন জরিপ ইঙ্গিত দিচ্ছে, নিউ হ্যাম্পশায়ারের প্রাইমারিতে ট্রাম্প তাঁর একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী রিপাবলিকান পার্টির নিকি হ্যালিকে পরাজিত করতে পারেন।

আরও পড়ুন

ট্রাম্প দিনের প্রথম অংশ নিউইয়র্কে কাটিয়েছেন। সেখানে তিনি তাঁর বিরুদ্ধে থাকা একটি মামলার বিচারে অংশ নেওয়ার পরিকল্পনা করছিলেন। তবে এক জুরির অসুস্থতার কারণে এ কার্যক্রম বুধবার পর্যন্ত মুলতবি করা হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে এখন মাঠে আছেন ট্রাম্প ও হ্যালি। তবে লড়াইয়ে সাউথ ক্যারোলাইনা অঙ্গরাজ্যের সাবেক গভর্নর হ্যালির চেয়ে এগিয়ে আছেন ট্রাম্প।

নিউ হ্যাম্পশায়ারের প্রাইমারিকে হ্যালির জন্য ‘শেষ সুযোগ’ মনে করা হচ্ছে। অন্যভাবে বললে, ট্রাম্পকে ঠেকাতে হ্যালির জন্য শেষ, তথা সেরা সুযোগ নিউ হ্যাম্পশায়ারের প্রাইমারি।

আরও পড়ুন

মার্কিন প্রেসিডেন্ট থাকাকালে ট্রাম্প দুবার দেশটির কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদে অভিশংসিত হন। এখন তিনি চারটি ফৌজদারি মামলার মুখোমুখি। তা সত্ত্বেও তিনি পুরো রিপাবলিকান পার্টির ওপর তাঁর অতি-ডানপন্থী ‘ব্র্যান্ড’ চাপিয়ে দিতে সফল হয়েছেন।

আজ ওয়াশিংটন পোস্ট/মনমাউথের এক নতুন জরিপে দেখা গেছে, নিউ হ্যাম্পশায়ারে ৭৭ বছর বয়সী ট্রাম্পের প্রতি ৫২ শতাংশ ভোটারের সমর্থন রয়েছে। আর ৫২ বছর বয়সী হ্যালির প্রতি সমর্থন আছে ৩৪ শতাংশের।

নিউ হ্যাম্পশায়ারের হলিসের এক প্রচারণা অনুষ্ঠানে ৫৯ বয়সী উদ্যোক্তা ডেনিন সানভিল বলেন, তিনি মনে করেন, ট্রাম্পই একমাত্র ব্যক্তি, যিনি যুক্তরাষ্ট্রে ঐক্য ফিরিয়ে আনতে পারেন। ট্রাম্পই একমাত্র ব্যক্তি, যিনি যুক্তরাষ্ট্রের দুর্নীতিবাজ রাজনীতিবিদদের জবাবদিহির মুখোমুখি করতে পারেন।

প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে ট্রাম্পের সামনে সবচেয়ে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে ফ্লোরিডার গভর্নর রন ডিস্যান্টিসকে বিবেচনা করা হচ্ছিল। কিন্তু রন ডিস্যান্টিস গত সপ্তাহান্তে এ লড়াই থেকে সরে দাঁড়ান। একই সঙ্গে তিনি ট্রাম্পকে সমর্থন দেন। রন ডিস্যান্টিস সরে যাওয়ার পর এখন ট্রাম্পের একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে মাঠে আছেন হ্যালি।

ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট থাকাকালে তাঁর প্রশাসনে কাজ করেছিলেন হ্যালি। তিনি জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৮ সালের অক্টোবরে হ্যালি আকস্মিকভাবে পদত্যাগ করেন।

আরও পড়ুন