লস অ্যাঞ্জেলেসে পৌঁছেছেন কয়েক শ মেরিন সেনা

লস অ্যাঞ্জেলেসে রওনা হতে প্রস্তুত হচ্ছেন মেরিন সেনারা। ছবিটি ৯ জুন তোলাছবি: রয়টার্স

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে কয়েক শ মার্কিন মেরিন সেনা গতকাল মঙ্গলবার বিক্ষোভে উত্তাল লস অ্যাঞ্জেলেসে পৌঁছেছেন। এর জেরে যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিতীয় বৃহত্তম এ শহরে উত্তেজনা আরও বেড়েছে।

চলমান পরিস্থিতিকে ‘গণতন্ত্রের ওপর আক্রমণ’ বলে গতকাল সতর্ক করে দিয়েছেন ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর গ্যাভিন নিউসম।

ট্রাম্প প্রশাসনের অভিবাসনবিরোধী অভিযানের প্রতিবাদে টানা পাঁচ দিন ধরে লস অ্যাঞ্জেলেসে বিক্ষোভ চলছে। বিক্ষোভ দমাতে ন্যাশনাল গার্ড ও মেরিন সেনা মোতায়েনের মতো ব্যতিক্রমধর্মী পদক্ষেপ নিয়েছেন ট্রাম্প। যদিও তাঁর এ পদক্ষেপ বিক্ষোভকে আরও উসকে দিয়েছে এবং তা একাধিক শহরে ছড়িয়ে পড়েছে।

লস অ্যাঞ্জেলেসে বিক্ষোভ দমনে ট্রাম্পের এমন সিদ্ধান্তে তীব্র আপত্তি জানিয়েছেন গভর্নর নিউসম। তাঁরা পরস্পরকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করছেন।

ট্রাম্পের পদক্ষেপের সমালোচনা করে নিউসম বলেছেন, ‘একজন ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্টের ক্ষমতার এমন নির্লজ্জ অপব্যবহার পরিস্থিতিকে আরও বিস্ফোরক করে তুলেছে। ফলে আমাদের জনগণ, আমাদের পুলিশ সদস্য এবং এমনকি ন্যাশনাল গার্ডও ঝুঁকির মুখে পড়েছে। যেকোনো সময় পতনের সূচনা হবে।’

আরও পড়ুন

এক ভিডিও বার্তায় নিউসম আরও বলেন, ‘তিনি (ট্রাম্প) আবারও উত্তেজনা বৃদ্ধির পথ বেছে নিলেন। তিনি আরও শক্তি প্রয়োগকে বেছে নিলেন। তিনি জননিরাপত্তার চেয়ে নাটকীয়তাকেই গুরুত্ব দিলেন...গণতন্ত্রের ওপর আক্রমণ হয়েছে।’

এদিকে বিক্ষোভের মধ্যে ভাঙচুর ও লুটপাট ঠেকাতে লস অ্যাঞ্জেলেসে আংশিক কারফিউ জারি করেছেন মেয়র ক্যারেন ব্যাস। গতকাল সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি কারফিউ জারির ঘোষণা দিয়ে বলেন, ‘মঙ্গলবার স্থানীয় সময় রাত ৮টা থেকে বুধবার সকাল ৬টা পর্যন্ত কারফিউ জারি থাকবে। এটি কয়েক দিন চলতে পারে।’

তবে কারফিউ পুরো শহরে নয়, বরং মাত্র এক বর্গমাইল এলাকার জন্য জারি করা হয়েছে। এ বিষয়ে ব্যাস বলেন, এই এক বর্গমাইলে যা ঘটছে (কারফিউ জারি), তা গোটা শহরের ওপর প্রভাব ফেলছে না। তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘এটি শহরজুড়ে ছড়িয়ে পড়া কোনো সংকট নয়।’

টানা বিক্ষোভের মধ্যেই গতকাল পুলিশ আরও ১৯৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। সংখ্যায় এটি এখন পর্যন্ত মোট গ্রেপ্তারের দ্বিগুণের বেশি।

আরও পড়ুন
আরও পড়ুন