২৬ বার ছুরিকাঘাতে ফিলিস্তিনি-মার্কিন শিশুকে হত্যা করা ব্যক্তির ৫৩ বছরের কারাদণ্ড

খুন হওয়ার মাত্র কয়েক দিন আগে নিজের ষষ্ঠ জন্মদিন উদ্‌যাপন করে ছোট্ট ওয়াদেয়া আল-ফাউমিফাইল ছবি: রয়টার্স

ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত ৬ বছরের এক মার্কিন শিশুকে হত্যার দায়ে ইলিনয়ের এক ব্যক্তিকে ৫৩ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের একটি আদালত।

দণ্ডিত ব্যক্তির নাম জোসেফ জুবা, বয়স ৭৩ বছর। ছোট্ট শিশু ওয়াদেয়া আল-ফাউমিকে ছুরিকাঘাতে হত্যা ও তার মা হানান শাহিনকে ছুরিকাঘাত করার অভিযোগে এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে আদালত জোসেফকে দোষী সাব্যস্ত করেন।

আরও পড়ুন

জোসেফের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন হানান শাহিন ও তাঁর ছেলে ওয়াদেয়া। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজার ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হওয়ার এক সপ্তাহ পর শাহিন এবং তাঁর ছেলের ওপর নিষ্ঠুরভাবে আক্রমণ করেন জোসেফ। আদালত এ ঘটনাকে মুসলিমবিদ্বেষ থেকে ঘৃণাত্মক হামলা হিসেবে বিবেচনা করেছেন।

হানান শাহিন ও তাঁর ছেলে ওয়াদেয়া জোসেফের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজার ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হওয়ার এক সপ্তাহ পর হানান এবং তাঁর ছেলের ওপর নিষ্ঠুরভাবে আক্রমণ করেন জোসেফ।

খাঁজকাটা প্রান্তের একটি সামরিক ছুরি দিয়ে ওয়াদেয়াকে ২৬ বার আঘাত করেছিলেন জোসেফ। ময়নাতদন্তের সময় ওয়াদেয়ার পেট থেকে ছুরির ৬ ইঞ্চি লম্বা ফলা বের করা হয়।

সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, হানান শাহিন ও জোসেফের স্ত্রী (বর্তমানে সাবেক) মেরি আদালতকে বলেছেন, গাজার সংঘাত নিয়ে উত্তেজিত হয়ে ওঠার পর জোসেফ মুসলিম পরিবারটিকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছিলেন।

আরও পড়ুন

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা বলেছেন, ২০২৩ সালে জোসেফ জোর করে শাহিনের শয়নকক্ষে প্রবেশ করেন এবং তাঁকে ছুরিকাঘাত করতে থাকেন। ওই নারী কোনোমতে দৌড়ে শৌচাগারে ঢুকে দরজা আটকে পুলিশকে ফোন দেন। সে সময়ে জোসেফ ৬ বছরের ওয়াদেয়াকে আক্রমণ করেন।

২০২৩ সালে গ্রেপ্তারের পর পুলিশ স্টেশনে জোসেফ জুবার এই ছবি তোলা হয়। ১৫ অক্টোবর, ২০২৩
ছবি: রয়টার্স

বিচারক অ্যামি বার্টানি-টমজাক ওয়াদেয়াকে হত্যার দায়ে জোসেফকে ৩০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন। এ ছাড়া শাহিনের ওপর হামলার অপরাধে ২০ বছর ও বিদ্বেষমূলক অপরাধে আরও ৩ বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন। জোসেফকে ধারাবাহিকভাবে এই কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।

আরও পড়ুন

২০২৩ সালের এ ঘটনার পর তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ওই হামলাকে ‘ভয়ংকর ঘৃণার কাজ’ বলে বর্ণনা করেছিলেন ও বলেছিলেন, ‘আমেরিকার মাটিতে এমন কর্মকাণ্ডের কোনো স্থান নেই।’

আরও পড়ুন