ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর পাঁচটি ইউনিট মানবাধিকার লঙ্ঘনে জড়িত: যুক্তরাষ্ট্র

ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরের বাসিন্দা এক কিশোরকে আটক করে নিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি সেনারাফাইল ছবি: রয়টার্স

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর পাঁচটি ইউনিট ব্যাপকভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে জড়িত। তবে এর পরও ইসরায়েলি বাহিনীকে সামরিক সমর্থন দিয়ে যাবে মার্কিন প্রশাসন।

যেসব স্বতন্ত্র ঘটনায় ইসরায়েলি বাহিনীর মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রমাণ পাওয়া গেছে, তার সব কটি ঘটেছে ফিলিস্তিনের গাজার বাইরে। গাজায় চলমান যুদ্ধ শুরুর আগেই।
ধারণা করা হচ্ছে, সব কটি ঘটনা সাম্প্রতিক বছরগুলোয় অধিকৃত পশ্চিম তীর ও জেরুজালেমে ঘটেছে।

অভিযুক্ত চারটি সেনা ইউনিটের বিরুদ্ধে ‘সংশোধনমূলক’ ব্যবস্থা নিয়েছে ইসরায়েল। বাকি একটি ইউনিটের বিষয়ে ‘অতিরিক্ত তথ্য’ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

এর অর্থ হলো বর্তমানে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর সব কটি ইউনিট মার্কিন সামরিক সহায়তা পাওয়ার যোগ্য।

সামরিক বিষয়ে ইসরায়েলের অন্যতম সমর্থক–পৃষ্ঠপোষক ওয়াশিংটন। প্রতিবছর যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ৩৮০ কোটি ডলারের অস্ত্র ও প্রতিরক্ষাব্যবস্থা পায় ইসরায়েল।                                  

আরও পড়ুন

যুক্তরাষ্ট্রের আইন (লেহি ল) অনুযায়ী, মার্কিন সহায়তা পাওয়া কোনো ভিনদেশি সেনা ইউনিট যদি ব্যাপকভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘনে জড়িত থাকে, তবে সেই ইউনিট ওয়াশিংটনের কাছ থেকে সামরিক সহায়তা পাওয়ার সুযোগ হারাবে।
১৯৯৭ সালে সাবেক সিনেটর প্যাট্রিক লেহির নেতৃত্বে যখন এ আইন করা হয়েছিল, তখন নির্যাতন, বিচারবহির্ভূত হত্যা, জোরপূর্বক গুম এবং ধর্ষণকে মানবাধিকার লঙ্ঘন হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছিল বলে জানিয়েছে মার্কিন প্রশাসন।

আরও পড়ুন

তাই ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর অভিযুক্ত পঞ্চম ইউনিট মার্কিন সহায়তা পাওয়ার যোগ্যতা হারাবে কি না, সে সম্পর্কে প্রশ্ন উঠেছে। এখন ওই ইউনিট নিয়ে ‘অতিরিক্ত তথ্য’ দেওয়া হয়েছে বলে জানানোর পর ধারণা করা হচ্ছে, এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে বিলম্ব হতে পারে।

ওই ইউনিট হলো ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর নেতজাহ ইয়েহুদা ব্যাটেলিয়ন। ১৯৯৯ সালে শুধু পুরুষ সেনাদের নিয়ে এ ইউনিট গঠন করা হয়েছিল। আল্ট্রা–অর্থোডক্স ইহুদিরা এ ইউনিটের সদস্য।

আরও পড়ুন