আগের কোনো ‘ক্ষোভ’ থেকে হামলাটি হতে পারে: পুলিশ

স্কুলের বারান্দায় অস্ত্র হাতে হালে
ছবি নাশভিল শহর পুলিশের ভিডিও থেকে : এএফপি

যুক্তরাষ্ট্রের টেনেসি অঙ্গরাজ্যের নাশভিল শহরের স্কুলে বন্দুক নিয়ে হামলা চালানো ব্যক্তির বাড়ি থেকে অনেকগুলো অস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ। হামলাকারীর নাম অড্রে হালে (২৮)। পুলিশের গুলিতে তিনি নিহত হয়েছেন। পুলিশ বলেছে, হালে ট্রান্সজেন্ডার ছিলেন এবং এই স্কুলেরই প্রাক্তন শিক্ষার্থী।

স্থানীয় সময় গতকাল সোমবার সকাল সোয়া ১০টার দিকে নাশভিলের কোভনেন্ট স্কুলে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এতে ছয়জন নিহত হন। তাঁদের মধ্যে তিনজন প্রাপ্তবয়স্ক ও তিনটি শিশু। নিহত তিন শিশুর বয়স ৯ বছর। শিশুরা হলো এভিলিন ডিয়েকহাস, হ্যালি স্ক্রুগস ও উইলিয়াম কিনে। প্রাপ্তবয়স্ক যাঁরা নিহত হয়েছেন, তাঁরা হলেন স্কুলের প্রধান ক্যাথেরিন কুনসে (৬০) এবং সিনথিয়া পিক (৬১) ও মাইক হিল (৬১)।

পুলিশ জানায়, হালের কাছে তিনটি বন্দুক ছিল। এর মধ্যে একটি ছিল সেমি অটোমেটিক রাইফেল। পুলিশের তালিকায় হালের নামে অপরাধের কোনো রেকর্ড নেই। পুলিশের ধারণা, আগের ‘ক্ষোভ’ থেকে হালে এ হামলা চালিয়ে থাকতে পারে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে কিছু কাগজ উদ্ধার করেছে। সেখানে স্কুলের প্রবেশ, বের হওয়ার পথগুলোসহ স্কুলটির বিস্তারিত ম্যাপ ছিল। পুলিশ এখন এসব খতিয়ে দেখছে।

হালে বন্দুক দিয়ে প্রবেশ দরজার কাচ ভেঙে স্কুলে প্রবেশ করেন
ছবি নাশভিল শহর পুলিশের ভিডিও থেকে : এএফপি

পরে নাশভিল পুলিশ একটি ভিডিও প্রকাশ করে। সেখানে দেখা যায়, হালে বন্দুক দিয়ে স্কুলে প্রবেশ দরজার কাচ ভেঙে প্রবেশ করেন। এরপর স্কুলের নির্জন করিডরে ঘুরে বেড়ান। একপর্যায়ে ‘শিশুদের মন্ত্রণালয়’ লেখা একটি ঘরের পাশ দিয়ে চলে যান।

সিসিটিভির ফুটেজে দেখা যায়, হালে নিজে সুরক্ষা বর্ম পরে এসেছিলেন। তাঁর এক হাতে ছিল একটি রাইফেল। আর কোমরের বাঁ দিকে ঝুলছিল একই রাইফেল। ওপরের তলায় ওঠার আগে হালে নিচতলায় গুলি ছোড়েন। পুলিশের গাড়ি পৌঁছানোর পর হালে তাদের লক্ষ্য করেও গুলি ছোড়ে। একটি গুলি এসে লাগে উইন্ডস্ক্রিনে। ভাঙা কাচের আঘাতে এক পুলিশ সদস্য আহত হন। পুলিশ দ্রুত ভেতরে ঢুকে হালেকে গুলি করে।

আরও পড়ুন

হালের ঠিকানার সূত্র ধরে পুলিশ তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালায়। সেখানে তাঁর বাবার সঙ্গে তারা কথা বলে।

নাশভিল পুলিশের প্রধান জন ড্রেক বলেন, হামলার পরিকল্পনা করার সময় হালে রেকি করেছেন। তাঁর বাড়ি থেকে অনেকগুলো অস্ত্র পাওয়া গেছে।