সবখানে রাশিয়া–চীনের জাহাজ, নিরাপত্তার জন্য গ্রিনল্যান্ড চান ট্রাম্প

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পফাইল ছবি: রয়টার্স

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গতকাল সোমবার আবার জোর দিয়ে বলেছেন, জাতীয় নিরাপত্তার জন্য তাঁর দেশের গ্রিনল্যান্ড দরকার। এ জন্য তিনি দ্বীপটিতে একজন বিশেষ দূত নিয়োগ দিয়েছেন। ট্রাম্প বলেন, এই বিশেষ দূত গ্রিনল্যান্ড-সংক্রান্ত উদ্যোগে যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে ‘নেতৃত্ব’ দেবেন।

ট্রাম্পের এই বিশেষ দূত হলেন যুক্তরাষ্ট্রের লুইজিয়ানা অঙ্গরাজ্যের গভর্নর জেফ ল্যান্ড্রি। গত রোববার ট্রাম্প গ্রিনল্যান্ডে তাঁর বিশেষ দূত হিসেবে জেফের নাম ঘোষণা করেন।

খনিজসমৃদ্ধ আর্কটিক অঞ্চলের এই দ্বীপ নিয়ে ট্রাম্পের এমন আগ্রহের কারণে ডেনমার্ক ও গ্রিনল্যান্ডের দিক থেকে নতুন করে সমালোচনা হচ্ছে।

আরও পড়ুন

ডেনমার্কের স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল গ্রিনল্যান্ড। গ্রিনল্যান্ডকে যুক্তরাষ্ট্রের অংশ করার পক্ষে বহু বছর ধরে মত দিয়ে আসছেন ট্রাম্প। যুক্তি হিসেবে তিনি গ্রিনল্যান্ডের কৌশলগত গুরুত্ব ও খনিজ সম্পদের কথা উল্লেখ করে থাকেন।

২০২৪ সালের জানুয়ারিতে গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব নেওয়া জেফ প্রকাশ্যে ট্রাম্পের এ ধারণার প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার পাম বিচে ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, ‘জাতীয় নিরাপত্তার জন্যই আমাদের গ্রিনল্যান্ড দরকার, খনিজের জন্য নয়। আপনি যদি গ্রিনল্যান্ডের দিকে তাকান, যদি এর (গ্রিনল্যান্ড) উপকূলের ওপর-নিচে দেখেন, তাহলে সবখানে রাশিয়া ও চীনের জাহাজগুলো দেখবেন। জাতীয় নিরাপত্তার জন্য আমাদের এটা প্রয়োজন। আমাদের এটা থাকা উচিত।’

আরও পড়ুন

এ সময় ট্রাম্প বলেন, জেফ এই উদ্যোগে ‘নেতৃত্ব’ দিতে চান।

বিশেষ দূতের দায়িত্ব পেয়ে ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানান জেফ। এক্সে দেওয়া এক পোস্টে তিনি লেখেন, গ্রিনল্যান্ডকে যুক্তরাষ্ট্রের অংশ করার উদ্যোগে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করা সম্মানের। এই দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে লুইজিয়ানার গভর্নর হিসেবে তাঁর অবস্থানের ওপর কোনো প্রভাব পড়বে না।

ট্রাম্প প্রশাসন গতকাল কোপেনহেগেনের ওপর আরও চাপ প্রয়োগ করে। এদিন যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ব উপকূলে পাঁচটি বৃহৎ অফশোর বায়ুবিদ্যুৎ প্রকল্পের ইজারা স্থগিত করে। এর মধ্যে ডেনমার্কের রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত প্রতিষ্ঠান অরস্টেডের দুটি প্রকল্পও রয়েছে।

আরও পড়ুন

ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী মেতে ফ্রেডেরিকসেন ও গ্রিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেনস-ফ্রেদেরিক নিয়েলসেন এক যৌথ বিবৃতিতে বলেছেন, গ্রিনল্যান্ড গ্রিনল্যান্ডবাসীর। ট্রাম্প অন্য কোনো দেশ দখল করতে পারেন না, এমনকি আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার যুক্তি দেখিয়েও না। যুক্তরাষ্ট্র গ্রিনল্যান্ড দখল করতে পারবে না।

গ্রিনল্যান্ড বিশ্বের সর্ববৃহৎ দ্বীপ। দ্বীপটির জনসংখ্যা প্রায় ৫৭ হাজার। এটি ডেনমার্কের সাবেক উপনিবেশ। বর্তমানে দ্বীপটি দেশটির একটি স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল।

আরও পড়ুন