আগামী বছরেই স্বাভাবিকের কাছাকাছি চলে যাবে ধনী দেশগুলো: বিল গেটস

বিল গেটস
ছবি: রয়টার্স

মাইক্রোসফটের সহপ্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস বলেছেন, ধনী দেশগুলো ২০২১ সালের শেষের দিকে স্বাভাবিকের দিকে ফিরে আসতে পারে। তবে শর্ত হচ্ছে, করোনার টিকা কার্যকর হওয়ার পর তা শিগগিরই পাওয়ার পাশাপাশি সঠিকভাবে বিতরণ করতে হবে। গত মঙ্গলবার ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের সিইও কাউন্সিলকে তিনি এ কথা বলেন। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিল গেটস বলেছেন, ‘আগামী বছরের মধ্যেই স্বাভাবিকের খুব কাছাকাছি চলে যেতে পারে, তবে তা সর্বোচ্চ ভালো পরিস্থিতি বিবেচনায়।’ অবশ্য তিনি সতর্ক করে বলেছেন, ‘টিকা এখনো সফল হবে কি না, তা আমরা জানি না। যথেষ্ট পরিমাণ টিকা উৎপাদনে সময় লাগবে। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের এবং অন্যান্য দেশের সঙ্গে টিকার বিতরণ গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট হতে পারে।’

আগামী বছরের মধ্যেই স্বাভাবিকের খুব কাছাকাছি চলে যেতে পারে, তবে তা সর্বোচ্চ ভালো পরিস্থিতি বিবেচনায়
বিল গেটস, সহ–প্রতিষ্ঠাতা, মাইক্রোসফট

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কোভিড-১৯-এর টিকা তৈরির দৌড়ে ফাইজার ও বায়ো এন টেক এবং অ্যাস্ট্রাজেনেকা ও অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটি টিকা শীর্ষ পর্যায়ে রয়েছে। এ দুটি টিকা পশ্চিমা দেশগুলোতে প্রথমে নিয়ন্ত্রকের অনুমোদন পেতে পারে।

গত মঙ্গলবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধানও বলেছেন, এ বছরের শেষ নাগাদ কোভিড-১৯-এর বিরুদ্ধে একটি টিকা প্রস্তুত হয়ে যেতে পারে।

মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস চরম দারিদ্র্য ও স্বাস্থ্যসেবা খাতে দাতব্য কাজ চালাতে বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনকে ৩ হাজার ৬০০ কোটি মার্কিন ডলার দান করেছেন। গত মাসে বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন ১৬টি ওষুধ কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করে। গেটস বলেছেন, দ্রুতগতিতে টিকার উৎপাদন বাড়াতে এবং তা সরবরাহ নিশ্চিত করতে তাদের উৎপাদন সক্ষমতা বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।

এদিকে, রাশিয়া তাদের পরীক্ষামূলক একটি টিকা চূড়ান্ত ধাপে পরীক্ষার পাশাপাশি জনগণকে দেওয়া শুরু করেছে। এটি পর্যবেক্ষকদের মধ্যে উদ্বেগ ছড়িয়েছে। তাঁদের অভিযোগ, রাশিয়া নিরাপত্তা ও বৈজ্ঞানিক ভিত্তির পরিবর্তে জাতীয় সম্মানকে গুরুত্ব দিচ্ছে।

বিল গেটস বলেছেন, ‘আমরা রাশিয়া ও চীনের সঙ্গে কথা বলছি। তাদের কোনো টিকা উচ্চমানসম্পন্ন নিয়ন্ত্রকের অধীনে তৃতীয় ধাপের পরীক্ষায় নেই।’

গেটসের মতে, রাশিয়া ও চীনের টিকা তৈরির প্রকল্প বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিতে বৈধ। তবে মানসম্মত তৃতীয় পর্যায়ের গবেষণা না থাকায় তাদের নিজ দেশের বাইরে এ টিকার গ্রহণযোগ্যতা কম হতে পারে।
গেটস বলেন, পশ্চিমা টিকা উৎপাদন কোম্পানিগুলো এই তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষায় এগিয়ে রয়েছে।

আর তাদের পরীক্ষা সফল হওয়ার পর তার দাম কমলে তা দেশের বাইরে ব্যবহার হতে পারে।

গেটস আরও বলেছেন, টিকা প্রস্তুত হয়ে গেলে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের টিকা গ্রহণ সম্পর্কে দ্বিধা কাটানোর উপায়গুলো নিয়ে চিন্তা করা উচিত।

স্বাস্থ্য এবং অর্থনৈতিক প্রয়োজনগুলোর ভারসাম্য বজায় রাখতে দক্ষিণ কোরিয়া ও অস্ট্রেলিয়া ভালো করছে বলে মন্তব্য করেন গেটস। তিনি বলেন, প্রথম দিকে সামান্য একটু বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগ একটি বিশাল পার্থক্য গড়ে তোলে।

আরও পড়ুন