মিনিয়াপোলিসে আবারও কৃষ্ণাঙ্গ যুবক হত্যা, হাজারো মানুষের বিক্ষোভ

মিনিয়াপোলিসে শনিবার হাজারো বিক্ষোভকারী কৃষ্ণাঙ্গ যুবক আমির লকি হত্যার বিচারের দাবিতে মিছিল করেনছবি: এএফপি

পুলিশের গুলিতে কৃষ্ণাঙ্গ যুবক আমির লকি নিহতের প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের মিনিয়াপোলিস শহরের রাজপথে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে। স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার হাজারো বিক্ষোভকারী এ হত্যার বিচারের দাবিতে মিছিল করেন। দুই বছর আগে এই শহরেই শ্বেতাঙ্গ পুলিশের হাতে নিহত হয়েছিলেন কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েড।

আরও পড়ুন

গত বুধবার মিনিয়াপোলিসে আমিরের অ্যাপার্টমেন্টে তল্লাশি চালায় পুলিশ। এ সময় পুলিশের গুলিতে নিহত হন ২২ বছর বয়সী আমির। হত্যার প্রতিবাদ ও বিচারের দাবিতে তীব্র শীত উপেক্ষা করে শনিবার শহরের কেন্দ্রস্থলে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ ও মিছিল হয়। জড়ো হন হাজারো বিক্ষোভকারী। এ সময় বিক্ষোভকারীরা ‘বিচার নেই, শান্তি নেই’ স্লোগান দেন। তাঁরা জড়িত পুলিশ সদস্যদের দ্রুত গ্রেপ্তার এবং শহরটির মেয়র ও পুলিশ প্রধানের পদত্যাগ দাবি করেন।

বুধবার হত্যাকাণ্ডের পরদিন পুলিশের পক্ষ থেকে ওই ঘটনার একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে। এতে দেখা যায়, তল্লাশির সময় বিছানায় শুয়ে ছিলেন আমির। পুলিশ তালা খুলে তাঁর বাসায় প্রবেশ করে। এ সময় তিনি পুলিশকে লক্ষ্য করে পিস্তল তাক করেন। তবে গুলি ছোড়েননি। এর পরপরই পুলিশের গুলিতে নিহত হন তিনি। আমিরকে লক্ষ্য করে তিনটি গুলি চালানো হয়।

আরও পড়ুন

পুলিশ জানিয়েছে, আমিরের বাড়িতে তল্লাশির জন্য তাঁদের কাছে ‘নো-নক ওয়ারেন্ট’ ছিল। এর ফলে তল্লাশির আগে আগাম জানানোর প্রয়োজন হয় না। তবে আমিরের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ ছিল কি না, থাকলেও সেটা কী ধরনের, সেসব কিছুই জানায়নি পুলিশ।

এক সংবাদ সম্মেলনে গত বৃহস্পতিবার মিনিয়াপোলিসের অন্তর্বর্তী পুলিশ প্রধান অ্যামেলিয়া হাফম্যান বলেন, এক পুলিশ সদস্যকে লক্ষ্য করে বন্দুক তাক করায় দ্রুত গুলি ছোড়ে পুলিশ। এতে নিহত হন আমির। এ ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়েছে।

এদিকে দুই বছর আগে শ্বেতাঙ্গ পুলিশের হাতে কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েড নিহত হওয়ার ঘটনার প্রতিবাদে ফুঁসে উঠেছিল মিনিয়াপোলিসবাসী। পরে বর্ণবাদবিরোধী ওই বিক্ষোভ পুরো যুক্তরাষ্ট্রে ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ে। ফ্লয়েডকে হত্যার দায়ে শ্বেতাঙ্গ পুলিশ কর্মকর্তা ডেরেক চৌভিনকে সাড়ে ২২ বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

আরও পড়ুন