রাশিয়ায় প্রথম প্রেসিডেন্ট নির্বাচন

বিশ্বে প্রতিদিন নানা ঘটনা-দুর্ঘটনা ঘটে। উদ্ভাবন-উন্মোচন ঘটে অনেক কিছুর। জন্ম ও মৃত্যু হয় অনেকের। তবে কিছু বিষয় দাগ কাটে মানুষের মনে, স্থায়ীভাবে ঠাঁই পায় ইতিহাসে। তেমন কিছু বিষয় নিয়ে আমাদের নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। আজ ১২ জুন। ফিরে দেখা যাক, উল্লেখযোগ্য কী ঘটেছিল এই দিনে। ‘অন দিস ডে: আ হিস্ট্রি অব দ্য ওয়ার্ল্ড ইন ৩৬৬ ডেজ’ বই থেকে অনুবাদ করেছেন অনিন্দ্য সাইমুম।

রাশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট বরিস ইয়েলৎসিন
ছবি: রয়টার্স

তত দিনে সমাজতান্ত্রিক সোভিয়েত ইউনিয়নের পতন ঘটেছে। তার উত্তরসূরি হিসেবে যাত্রা শুরু করেছে গণতান্ত্রিক দেশ রাশিয়া। সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাওয়ার পর ১৯৯১ সালের এদিনে প্রথমবারের মতো রাশিয়ায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে গণতান্ত্রিকভাবে ভোট গ্রহণ হয়। এ নির্বাচনে জিতে গণতান্ত্রিক রাশিয়ার প্রথম প্রেসিডেন্ট হন বরিস ইয়েলৎসিন। নির্বাচনে প্রায় ৫৮ শতাংশ ভোট পেয়েছিলেন তিনি। ২০০৭ সালের ২৩ এপ্রিল ৭৬ বছর বয়সে ইয়েলৎসিনের মৃত্যু হয়।

বাইসাইকেল উদ্ভাবন

একটি বাইসাইকেল, কিন্তু সেটার প্যাডেল নেই, নেই চেইন। এমন সাইকেল চালাতে কেমন লাগবে? অবাক হচ্ছেন? শুরুতে কিন্তু বাইসাইকেল এমনই ছিল। চাকা ছিল, আসন ছিল, কিন্তু ছিল না প্যাডেল। মাটিতে পায়ে ঠেলে ঠেলে সেই সাইকেল চালাতে হতো। আর এই সাইকেল প্রথম দেখা গিয়েছিল জার্মানিতে, ১৮১৭ সালের ১২ জুন। উদ্ভাবন করেন জার্মান উদ্ভাবক কার্ল ভন দ্রাইস। তিনি এটির নাম দিয়েছিলেন লোউফমেশিন বা রানিং মেশিন।

ফিনল্যান্ডের রাজধানী হেলসিংকি
ছবি: রয়টার্স

হেলসিংকি শহরের গোড়াপত্তন

প্রথম গুস্তাভ ছিলেন সুইডেনের রাজা। ১৫৫০ সালের এদিনে তিনি হেলসিংফোর্স নামে একটি শহরের গোড়াপত্তন করেন। বর্তমানে সেই শহর হেলসিংকি নামে পরিচিত। বিশ্বের সবচেয়ে সুখী দেশ ফিনল্যান্ডের রাজধানী এটি।

সিঙ্গাপুরে করমর্দন করছেন উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং-উন ও সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প
ছবি: রয়টার্স

ট্রাম্প-কিমের সাক্ষাৎ

যুক্তরাষ্ট্র ও উত্তর কোরিয়ার সম্পর্ক সাপে-নেউলে। যখন–তখন দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। দেখা দেয় যুদ্ধ পরিস্থিতি। এর মধ্যেই ২০১৮ সালের ১২ জুন এক ঐতিহাসিক বৈঠক করেন দুই দেশের প্রধানেরা। উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং-উন ও তখনকার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সিঙ্গাপুরে বৈঠক করেন। এই বৈঠক টেকসই শান্তি প্রতিষ্ঠায় আশা জাগায়। কিন্তু সেই প্রত্যাশা পরবর্তী সময়ে ফিকে হয়ে এসেছে।

কিশোরী আনা ফ্রাঙ্ক
ফাইল ছবি: রয়টার্স

আনা ফ্রাঙ্কের জন্মদিন আজ

আনা ফ্রাঙ্কের কথা মনে আছে নিশ্চয়ই? যার লেখা ডায়েরিতে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ভয়াল অভিজ্ঞতা পড়ে শিউরে উঠেছিল বিশ্বের মানুষ। ১৯৪২ সালের ১২ জুন ছিল নেদারল্যান্ডসের ইহুদি কিশোরী আনা ফ্রাঙ্কের ১৩তম জন্মদিন। এদিনে সে উপহার পায় আলোচিত সেই ডায়েরি। পরে দুই বছরের বেশি সময় ধরে নিয়মিত ডায়েরি লিখেছিল আনা ফ্রাঙ্ক। তাতে উঠে এসেছে বিশ্বযুদ্ধের ভয়াবহতা। গোপন ডেরায় সপরিবার লুকিয়ে থাকার বয়ান। নাৎসি বাহিনীর হাতে ধরা পড়ার আগপর্যন্ত দেখা যুদ্ধের কঠিন সময়ের বাস্তবতায় এক কিশোরীর অনুভূতি। আনা ফ্রাঙ্কের মৃত্যুর পর তার এসব বয়ান বই আকারে প্রকাশিত হয়েছে। নাম ‘আনা ফ্রাঙ্কের ডায়েরি’। আনার ফ্রাঙ্কের ডায়েরিটা ৬০টি ভাষায় অনূদিত হয়েছে। ৩০ মিলিয়নের বেশি কপি বিক্রি হয়েছে। এটা পৃথিবীর অন্যতম আলোচিত বইয়ের মধ্যে একটা।

আরও পড়ুন
আরও পড়ুন
আরও পড়ুন