আলফার মতো ডেলটার বিরুদ্ধেও প্রায় সমান কার্যকর ফাইজার ও অক্সফোর্ডের টিকা: গবেষণা

করোনার ডেলটা ধরনের বিরুদ্ধে সুরক্ষা দিতে ফাইজারের টিকার দুই ডোজ ৮৮ শতাংশ কার্যকর।
ফাইল ছবি: রয়টার্স

ভারতে শনাক্ত হওয়া করোনাভাইরাসের ডেলটা ধরন দেশে দেশে সংক্রমণ ও মৃত্যু বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ। তবে গবেষকেরা বলছেন, ডেলটা ধরন থেকে কার্যকর সুরক্ষা দিতে পারে ফাইজার বা অক্সফোর্ড–অ্যাস্ট্রাজেনেকার পূর্ণাঙ্গ ডোজের করোনার টিকা। ফাইজার বা অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার দুই ডোজ যুক্তরাজ্যে শনাক্ত হওয়া আলফা ধরনের বিরুদ্ধে যতটা কার্যকর ছিল, ডেলটার বিরুদ্ধেও প্রায় ততটাই কার্যকর। নতুন একটি গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে। খবর আল–জাজিরার।

গতকাল বুধবার নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অব মেডিসিনে প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বজুড়ে এখন সবচেয়ে বেশি ছড়িয়েছে করোনার ডেলটা ধরন। এই ধরনের বিরুদ্ধে সুরক্ষা পেতে টিকা কার্যকর ভূমিকা রাখছে। বিশেষত যাঁরা ইতিমধ্যে ফাইজার কিংবা অক্সফোর্ডের টিকার দুই ডোজ নিয়েছেন, তাঁদের সুরক্ষা পাওয়ার সম্ভাবনা আলফা ধরনের প্রায় কাছাকাছি।

ডেলটার ধরনের আগে শনাক্ত হওয়া অন্যান্য ধরনের মধ্যে আলফা ধরনকেই সবচেয়ে সংক্রামক বলে বিবেচনা করা হতো।

আরও পড়ুন

মে মাসের তথ্য বিশ্লেষণ করে পাবলিক হেলথ ইংল্যান্ডের (পিএইচই) গবেষকেরা বলছেন, করোনার ডেলটা ধরনের বিরুদ্ধে সুরক্ষা দিতে ফাইজারের টিকার দুই ডোজ ৮৮ শতাংশ কার্যকর। আর আলফা ধরনের বিরুদ্ধে এই টিকার দুই ডোজ ৯৩ দশমিক ৭ শতাংশ সুরক্ষা দিতে পারে।

অন্যদিকে অক্সফোর্ড–অ্যাস্ট্রাজেনেকার উদ্ভাবিত করোনার টিকার দুই ডোজ ডেলটা ধরনের বিরুদ্ধে ৬৭ শতাংশ সুরক্ষা দিতে পারে বলে নতুন এই গবেষণায় উঠে এসেছে। আর আলফা ধরনের বিরুদ্ধে এই টিকার দুই ডোজ ৭৪ দশমিক ৫ শতাংশ সুরক্ষা দিতে পারে।

আরও পড়ুন

পিএইচইর গবেষকেরা বলছেন, করোনার টিকার দুই ডোজ নেওয়ার পর আলফা ধরনের তুলনায় ডেলটা ধরন থেকে সুরক্ষা পাওয়ার ব্যবধান খুবই সীমিত। এর আগে পিএইচই জানিয়েছিল, করোনার টিকার একটি ডোজ ডেলটা ধরনের বিরুদ্ধে প্রায় ৩৩ শতাংশ সুরক্ষা দিতে পারে।

গতকাল প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফাইজারের উদ্ভাবিত করোনার এক ডোজ টিকা ৩৬ শতাংশ সুরক্ষা দিতে পারে। আর অক্সফোর্ডের টিকার এক ডোজ সুরক্ষা দিতে পারে ৩০ শতাংশ।

আরও পড়ুন

এদিকে গত জুনে রাশিয়ার উদ্ভাবিত করোনার টিকা স্পুতনিক–ভির উৎপাদনকারীরা জানান, অতিসংক্রামক ডেলটা ধরনের বিরুদ্ধে এই টিকা প্রায় ৯০ শতাংশ সুরক্ষা দিতে পারে।