এমন ঘটনা ৮০০ বছরে এই প্রথম

বৃহস্পতি আর শনিকে একসঙ্গে দেখতে রাতের আকাশে চোখ রাখেন অনেকে। এ সময় এভাবেই ধরা দেয় গ্রহ দুটি। বাঁয়ের বড় বিন্দুটি বৃহস্পতি। আর ডানের ছোট বিন্দুটি শনি। থাইল্যান্ডের কো লিপ দ্বীপ, ২১ ডিসেম্বর
ছবি: এএফপি

৮০০ বছর পর রাতের আকাশে আবার খালি চোখে একসঙ্গে দেখা গেল বৃহস্পতি আর শনিকে। এর আগে ১২২৬ সালে এভাবে এই দুই গ্রহকে খালি চোখে দেখা গিয়েছিল।

আর এ কারণেই সৌরজগতের এই ঘটনাকে ‘মহা সংযোগ’ বলছেন মহাকাশবিজ্ঞানীরা। সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও উৎসুক মানুষেরা এই মহা সংযোগের সাক্ষী হতে আকাশে চোখ রেখেছিলেন।

সৌরজগতের সবচেয়ে বড় গ্রহ বৃহস্পতি। আর সূর্যের এই পরিবারের সবচেয়ে উজ্জ্বল সদস্য শনি। নিজ নিজ কক্ষপথে সূর্যকে প্রদক্ষিণ করার সময় সৌরজগতের গ্রহগুলো প্রায়ই একে অপরকে অতিক্রম করে। সেদিক থেকে সোমবার রাতের ঘটনাটি বিরল নয়। তবে এভাবে দুই গ্রহকে খালি চোখে দেখতে পাওয়াটাই ঘটনাটিকে অনন্য করে তুলেছে।

সিএনএন জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের রাইস ইউনিভার্সিটির পদার্থবিদ্যা ও মহাকাশবিজ্ঞানের অধ্যাপক প্যাট্রিক হার্টিগান বলেছেন, বৃহস্পতি আর শনি প্রতি ২০ বছর বা তার কাছাকাছি সময় পরপর পরস্পরকে অতিক্রম করে। কিন্তু এবারের মহা সংযোগে এই দুই গ্রহ খুব কাছাকাছি অবস্থান করবে। তিনি বলেন, এর আগে ১২২৬ সালের ৪ মার্চ গ্রহ দুটি এতটা কাছে এসেছিল।

অবশ্য রাতের আকাশে ১৬ ডিসেম্বর থেকেই শনি আর বৃহস্পতি দেখা দিয়েছে। এরপর ক্রমেই গ্রহ দুটি পরস্পরের কাছে এসেছে। আর সোমবার রাতে গ্রহ দুটি পরস্পরকে অতিক্রম করে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার মহাকাশবিজ্ঞানী হেনরি থ্রুপ।

নাসার তথ্যমতে, খুব কাছাকাছি চলে আসার পরও সোমবার শনি আর বৃহস্পতির মধ্যে দূরত্ব ছিল কোটি কোটি কিলোমিটার। বিজ্ঞানীরা বলছেন, গ্রহ দুটি এ সময় একে অপরের থেকে প্রায় ৭৩ কোটি কিলোমিটার দূরে ছিল। এরপর শনি আর বৃহস্পতির মধ্যে এমন মহা সংযোগ ঘটবে ২০৮০ সালের ১৫ মার্চ। তারপর বিশ্ববাসীকে অপেক্ষা করতে হবে ২৪০০ সাল পর্যন্ত।