কার্বন নিসঃরণে টনে ক্ষতিপূরণ ৭৫ ডলার

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছে ৬০০ কোটি ডলার ঋণ পেতে যাচ্ছে পাকিস্তান।ছবি: রয়টার্স

উচ্চ গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে বাতাসে কার্বন ডাই-অক্সাইড ছড়ানোর বিনিময়ে মূল্য পরিশোধ করা উচিত। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) বলছে, প্যারিস জলবায়ু চুক্তির লক্ষ্যে পৌঁছানোর উপায় হিসেবে উচ্চ গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো প্রতি টন কার্বন ডাই-অক্সাইডের জন্য ৭৫ ডলার করে দেওয়া উচিত। যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান-এর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য দেওয়া হয়েছে।

সংস্থাটি বলছে, যেসব শিল্পকারখানা তাদের পণ্য উৎপাদনের সময় যে পরিমাণ কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্যাস ছড়াবে, সে হিসেবে তাদের অর্থ দিতে হবে। তবেই প্যারিস জলবায়ু চুক্তির লক্ষ্য সহজে অর্জিত হতে পারে। কার্বন নিঃসরণের জন্য এই অর্থ পরিশোধের ব্যবস্থাকে ‘কার্বন প্রাইসিং সিস্টেম’ বলা হয়। বর্তমানে বিশ্বের অনেক দেশেই এই ব্যবস্থা চালু রয়েছে। কিন্তু আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত কোনো মূল্য নির্ধারণ করা নেই।

জি-২০ভুক্ত দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়ে আইএমএফ বলছে, উন্নয়নশীল দেশগুলোর তাদের দেশের কার্বন নির্গমনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর মূল্য নির্ধারণ করে দিতে হবে। কার্বন নিঃসরণ শূন্যে নামিয়ে আনার সবচেয়ে দ্রুত ও সহজ উপায় হচ্ছে এটি।

২০১৫ সালে হওয়া প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে বৈশ্বিক উষ্ণতা দেড় থেকে দুই ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রাখার কথা বলা হয়েছে। আইএমএফ বলছে, এই লক্ষ্য অর্জন করতে হলে আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে প্রতি টন নিঃসরিত কার্বন ডাই-অক্সাইডের জন্য ৭৫ ডলার করে সংগ্রহ করতে হবে।