চীন–ইইউ সম্পর্ক চ্যালেঞ্জের মুখে, ম্যার্কেলকে বললেন চিন পিং

চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং ও জার্মানির চ্যান্সেলর আঙ্গেলা
ম্যার্কেল (ফাইল ছবি)। রয়টার্স।

চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং বলেছেন, সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন ইস্যুতে বিরোধের কারণে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সঙ্গে চীনের সম্পর্ক চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে।

আশা করছি, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক এগিয়ে নিতে ইইউ প্রতিটি বিষয় ‘স্বাধীনভাবে’ বিবেচনা করবে।

বুধবার জার্মানির চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন সি চিন পিং। এই সময় তিনি ম্যার্কেলের উদ্দেশে এমন মন্তব্য করেন। চীন সরকারের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানানো হয় বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

টেলিফোন আলাপে সি চিন পিং আরও বলেন, চীন ও ইইউর একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করা উচিত এবং যেকোনো ইস্যুতে হস্তক্ষেপের ঘটনা কমিয়ে আনতে দুই পক্ষের সচেষ্ট থাকা দরকার। এ সময় করোনার টিকার সুষ্ঠু ও যুক্তিসংগত বিতরণ নিশ্চিত করা এবং টিকা জাতীয়তাবাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েও দুই নেতার কথা হয়েছে বলে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।

আরও পড়ুন

জার্মান সরকারের মুখপাত্র উলরিক দেমের বলেন, কোভিড-১৯ টিকার উৎপাদন ও বিতরণ নিয়ে বৈশ্বিক উদ্যোগের বিষয়ে আলাপ করেছেন আঙ্গেলা ম্যার্কেল ও সি চিন পিং। অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও জলবায়ু পরিবর্তন রোধের বিষয়েও তাঁদের কথা হয়েছে। চীন-জার্মান দ্বিপক্ষীয় মিত্রতা জোরদারে চলতি মাসের শেষের দিকে সরকারি পরামর্শক পর্যায়ে আলোচনায় সম্মতি দিয়েছেন দুই নেতা।

গত মাসে তিন দশকের বেশি সময়ের মধ্যে প্রথমবারের মতো চীনের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ইইউ। জিনজিয়াংয়ে উইঘুর মুসলিম সম্প্রদায়ের ওপর মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে এই নিষেধাজ্ঞা দেয় ইউরোপীয় জোট। সবশেষ ১৯৮৯ সালে চীনের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল ইইউ। ওই সময় তিয়েনআনমেন স্কয়ারে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর চীনা সেনাবাহিনীর দমনপীড়ন ও হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল ইইউ।

আরও পড়ুন

যদিও চীন জিনজিয়াংয়ে উইঘুর মুসলিমদের ওপর নির্যাতনের অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তবে বেইজিংয়ের পক্ষ থেকে ইইউর আইনপ্রণেতাদের বিরুদ্ধে পাল্টা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। জিনজিয়াং ইস্যুতে ইইউর পাশাপাশি চীনের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও কানাডা।

আরও পড়ুন