ইউরেনিয়ামের মজুত বাড়ানোর জন্য তৈরি থাকার নির্দেশ

প্রেসিডেন্ট রুহানি। ছবি: এএফপি
প্রেসিডেন্ট রুহানি। ছবি: এএফপি

ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তি বাতিল করে যুক্তরাষ্ট্র কথার বরখেলাপ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি। হোয়াইট হাউস থেকে চুক্তি বাতিলের ঘোষণা আসার পর এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে রুহানি এই মন্তব্য করেন। যুক্তরাষ্ট্র আন্তর্জাতিক প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছে বলে মনে করে রুহানি বলেন, ‘কম্প্রিহেনশিভ প্ল্যান অব অ্যাকশন (জেসিপিওএ) কিংবা ‘ইরান চুক্তি’ দ্বিপক্ষীয় চুক্তি নয়। এটি কয়েকটি দেশের সঙ্গে বহুজাতিক একটি চুক্তি। যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও আরও পাঁচটি দেশ এই চুক্তিতে রয়েছে।’ যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সিএনএনের এক প্রতিবেদনে এসব বলা হয়েছে।

রুহানি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বেরিয়ে গেলেও অন্য পাঁচটি দেশের সঙ্গে এখনো চুক্তি কার্যকর আছে। চুক্তি বাতিলের মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইরানের মানুষের সঙ্গে মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধ তৈরির চেষ্টা করছেন বলেও মন্তব্য করেন রুহানি। 

এদিকে বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে বলা হয়, ইতিমধ্যেই প্রেসিডেন্ট রুহানি ইরানের পারমাণবিক শক্তি সংস্থাকে তেজস্ক্রিয় পদার্থ ইউরেনিয়ামের মজুত বাড়ানোর জন্য তৈরি থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। তবে এখনই উৎপাদনে না গিয়ে দুই-এক সপ্তাহ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবেন বলে রুহানি জানান। এক বিবৃতিতে ইরানের প্রেসিডেন্ট বলেন, ইরানের পারমাণবিক শক্তি সংস্থাকে ইউরেনিয়ামের মজুত বাড়ানোর জন্য তৈরি থাকার নির্দেশ দিয়েছি। তবে কয়েক সপ্তাহ দেখব। চুক্তিতে থাকা অন্য দেশগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সবকিছুই আমাদের জাতীয় স্বার্থের ওপর নির্ভর করছে। 
এর আগে মঙ্গলবার স্থানীয় সময় বেলা দুইটার কিছু সময় পর হোয়াইট হাউসে ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসার ঘোষণা দেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।

আরও পড়ুন: