
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় আজ রোববার বুয়েটের আরও এক ছাত্র আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। এর মধ্য দিয়ে এই মামলার ৪১ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়েছে।
রোববার সাক্ষ্য দিয়েছেন আবদুল মুবিন ইবনে হাফিজ ওরফে প্রত্যয়। তিনি বুয়েটের শেরেবাংলা হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে থাকতেন।
৩০ ডিসেম্বর এ মামলার পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ঠিক করেছেন আদালত। ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১–এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান এই দিন ধার্য করেন।
বুয়েট ছাত্র আবদুল মুবিন আদালতকে বলেন, গত বছরের ৬ অক্টোবর রাতে তিনি টিউশন শেষে হলে আসেন। তবে নিজের ২০১১ নম্বর কক্ষে তিনি যাননি। তিনি সোহরাওয়ার্দী হলের এক বন্ধুর কাছে যান। রাত সাড়ে তিনটার দিকে তাঁর এক বন্ধু ফোন করে জানান যে তাঁর কক্ষে একটি ঘটনা ঘটেছে। তিনি যেন দ্রুত সেই কক্ষে যান। রাত ৩টা ১৫ মিনিটের দিকে তিনি শেরেবাংলা হলে আসেন। হলের নিচতলায় স্ট্রেচারে আবরার ফাহাদের লাশ দেখতে পান। পরে তিনি তাঁর ২০১১ নম্বর কক্ষে যান। সেখানে দুই টুকরা ক্রিকেট স্ট্যাম্প দেখতে পান। পরে তিনি জানতে পারেন, আবরার ফাহাদকে ২০১১ নম্বর কক্ষে ডেকে নিয়ে মারধর করে মেরে ফেলা হয়।
এর আগে বুয়েটের আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার ২২ আসামিকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়।
আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় বিচারিক আদালত পরিবর্তন চেয়ে ১৬ আসামির আবেদন উত্থাপিত হয়নি বলে ২১ ডিসেম্বর তা খারিজ করে দেন হাইকোর্ট।
২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শেরেবাংলা হল থেকে তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় করা মামলায় গত বছরের ১৩ নভেম্বর বুয়েটের ২৫ ছাত্রের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। গত ২১ জানুয়ারি অভিযোগপত্রটি আমলে নেন আদালত। গত ২ সেপ্টেম্বর বুয়েটের ২৫ ছাত্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়।
এ মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত তিন আসামি পলাতক। রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করছেন আবু আবদুল্লাহ ভূঁইয়া, আব্দুস সোবহান তরফদার, প্রশান্ত কুমার কর্মকার, মিজানুর রহমান, আলমগীর হোসেন, শহিদুল ইসলাম ও মশিউর রহমান। আসামিপক্ষে মামলা পরিচালনা করছেন মাহাবুব আহমেদ, আমিনুল গণী টিটো, গাজী জিল্লুর রহমান, আজিজুর রহমান, ফারুক আহমেদ প্রমুখ।