Thank you for trying Sticky AMP!!

আসনসংখ্যা বাড়ানোর দাবিতে রেলপথ অবরোধ

চুয়াডাঙ্গায় রেলপথ অবরোধ। ছবি: প্রথম আলো।

ঢাকাগামী চিত্রা ও সুন্দরবন এক্সপ্রেস এবং আন্তনগর সব ট্রেনে আসনসংখ্যা দ্বিগুণ করাসহ পাঁচ দফা দাবিতে চুয়াডাঙ্গায় সম্মিলিত নাগরিক সমাজ দুই ঘণ্টা রেলপথ অবরোধ করেছে। এ সময় তারা রেললাইনে অবস্থান ধর্মঘট ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে। আজ শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত টানা দুই ঘণ্টা চুয়াডাঙ্গা রেলস্টেশনে এসব কর্মসূচি পালন করা হয়। এ সময় ঢাকাগামী চিত্রা এক্সপ্রেস অবরোধের মুখে পড়ে।আন্দোলনকারীরা জানান, চুয়াডাঙ্গা রেলস্টেশন থেকে মেহেরপুর, ঝিনাইদহ ও মাগুরা জেলার মানুষ ট্রেনে করে ঢাকাসহ দূরপাল্লায় যাতায়াত করে। এই স্টেশন হয়ে চলাচলকারী যাত্রীরা দীর্ঘদিন ধরে ট্রেনগুলোতে আসনসংখ্যা বাড়ানোর দাবি জানাচ্ছেন। কিন্তু তা করা হয়নি। তাঁদের অভিযোগ, গত ১০ জুলাই ঢাকাগামী চিত্রা এক্সপ্রেসের আসনসংখ্যা ৪৫ থেকে কমিয়ে ২৫ করা হয়েছে। চার জেলার ৫০ লাখ মানুষের ট্রেন যোগাযোগের জন্য এটি গ্রহণযোগ্য নয়। এসব অভিযোগের কথা জানিয়ে সম্মিলিত নাগরিক সমাজ পাঁচ দফা দাবি উত্থাপন করেছে। এগুলো হচ্ছে চুয়াডাঙ্গা রেলস্টেশনে ঢাকাগামী ট্রেনের আসনসংখ্যা ৭০-এ উন্নীতকরণসহ দূরপাল্লার ট্রেনের আসনসংখ্যা দ্বিগুণ, স্টেশনে ট্রেনের যাত্রাবিরতি তিন থেকে বাড়িয়ে পাঁচ মিনিটে উন্নীত, জেলার বন্ধ হয়ে যাওয়া মুন্সিগঞ্জ, মোমিনপুর, জয়রামপুর,গাইদঘাট ও আন্দুলবাড়িয়া স্টেশন চালু, দেশের প্রথম রেলওয়ে স্টেশন দর্শনাকে ইতিহাস ও ঐতিহ্যের স্মারক হিসেবে সংরক্ষণে সরকারি উদ্যোগ ও রেলমন্ত্রী মুজিবুল হকের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী চুয়াডাঙ্গা স্টেশনে সার্বক্ষণিক টেলিফোনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা।   

বাংলাদেশ রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) ফেরদৌস আলম দাবিগুলো পর্যায়ক্রমে মেনে নেওয়ার জন্য নেতাদেরকে মুঠোফোনে প্রতিশ্রুতি দেন। জিএমের আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে আন্দোলনকারীরা ঈদ পর্যন্ত কর্মসূচি স্থগিত ঘোষণা করলে ট্রেন চলাচল শুরু হয়। দাবি না মানলে ঈদের পর বৃহত্তর আন্দোলন করা হবে বলেও তাঁরা হুঁশিয়ারি দেন।

মহাব্যবস্থাপক ফেরদৌস আলম মাইকে আন্দোলনরত জনতাকে শান্ত করার চেষ্টা করেন। তিনি বলেন, সম্প্রতি বিরোধী দলের আন্দোলন চলাকালে বেশ কয়েকটি ট্রেনে আগুন দেওয়া হয়। এতে অনেকগুলো কোচ পুড়ে যায়। কোচের অভাবে শুধু চুয়াডাঙ্গা নয়, সব কটি স্টেশনে যাত্রীর আসনসংখ্যা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। আগের অবস্থানে ফিরিয়ে আনতে কর্তৃপক্ষ চেষ্টা করছে।

কর্মসূচি চলাকালে সম্মিলিত নাগরিক সমাজের আহ্বায়ক জহির রায়হান, সরদার আলী হোসেন, জিপু চৌধুরী, ফাইজার চৌধুরী, বিল্লাল হোসেন ও শাহিন সুলতানাসহ সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা বক্তব্য দেন।