Thank you for trying Sticky AMP!!

আ.লীগের জয় প্রত্যাশিত, ভোটের সংখ্যা নিয়ে সংশয়

যুক্তরাষ্ট্রের থিংক ট্যাংক উইলসন সেন্টারের দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক বিশেষজ্ঞ মাইকেল কুগেলম্যান

যুক্তরাষ্ট্রের থিংক ট্যাংক উইলসন সেন্টারের দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক বিশেষজ্ঞ মাইকেল কুগেলম্যান মনে করেন, সদ্য অনুষ্ঠিত বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিরোধী দলগুলোর দুর্বলতার কারণেই আওয়ামী লীগের বিপুল বিজয় অর্জন সম্ভব হয়েছে। তবে যে ব্যবধানে ক্ষমতাসীন দল এই বিজয় অর্জন করে, তা যুক্তিকে হার মানায়। প্রথম আলোর যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধির কাছে এক লিখিত মন্তব্যে কুগেলম্যান এই মন্তব্য করেন।

কুগেলম্যান বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের বিরোধী দলগুলো যেভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছিল, তাতে আওয়ামী লীগ যে এই নির্বাচনে জয়যুক্ত হবে, তা আগে থেকেই টের পাওয়া গিয়েছিল। তারাই ছিল এই নির্বাচনে ‘ফেবারিট’ দল। তবে নির্বাচনী ফলের সম্পূর্ণ একপেশে অবস্থা সন্দেহের উদ্রেক করে। কোনো রাজনৈতিক দল, তা সে যত জনপ্রিয় হোক না কেন, ৯৫ শতাংশের অধিক আসন দখল করবে—এ কথা ভাবার কোনো কারণ নেই। সন্দেহের সেটাই কারণ।

কুগেলম্যান মনে করেন, এই ফলাফল কয়েকটি উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে। এর অন্যতম হলো বাংলাদেশে গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ। নির্বাচনের আগে যেভাবে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর হামলা চালানো হয় এবং এরপর আগামী পাঁচ বছরের জন্য আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ ক্ষমতা অর্জন, তাতে বাংলাদেশ ক্রমে একদলীয় রাষ্ট্রে পরিণত হচ্ছে—এটা বললে অত্যুক্তি হবে না।

বাংলাদেশের স্থিতিশীলতা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন এই মার্কিন বিশেষজ্ঞ। তিনি বলেন, বিরোধী দলগুলোর পুনর্নির্বাচনের দাবি বাস্তবায়িত না হলে তারা দেশজুড়ে অসন্তোষ সৃষ্টির চেষ্টা করতে পারে। তবে বিরোধী দলগুলো এখন এতটা দুর্বল যে তাদের পক্ষে সংগঠিত রাজনৈতিক আন্দোলন গড়ে তোলা কার্যত অসম্ভব। এই অবস্থায় যা হতে পারে, তা হলো বিক্ষিপ্ত সহিংস হামলা।

আওয়ামী লীগ ও বিরোধী দলগুলোর সহাবস্থান দীর্ঘমেয়াদি খুব সুখকর হবে না বলেই মনে করেন কুগেলম্যান। এর ফলে দেশে একধরনের রাজনৈতিক সংকটের সূচনা হতে পারে। তিনি এও মনে করেন, ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হওয়ার পর আওয়ামী লীগ হয়তো বিরোধীদের সঙ্গে বিরোধ মিটিয়ে ফেলতে তাদের দিকে সমঝোতার হাত বাড়াতে পারে। তবে বাংলাদেশ সরকার ও বিরোধী পক্ষের মধ্যে তিক্ততা এখন এতটাই যে এমন কিছু আশা করা অতিরঞ্জিত মনে হতে পারে।