বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের অবসরকালীন সুবিধা ও কল্যাণ ট্রাস্টের চাঁদা কর্তনের হার বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন জাতীয় শিক্ষক কর্মচারী ফ্রন্টের রাজশাহী জেলা শাখার নেতারা। রাজশাহীতে সংবাদ সম্মেলন করে গতকাল মঙ্গলবার তাঁরা এ দাবি জানান।
রাজশাহীর শাহমখদুম কলেজের শিক্ষক মিলনায়তনে ওই সংবাদ সম্মেলন হয়। লিখিত বক্তব্যে ফ্রন্টের জেলা কমিটির আহ্বায়ক অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বলেন, বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের অবসরসুবিধা ও কল্যাণ ট্রাস্টের চাঁদা বর্ধিত হারে কর্তনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করে অবিলম্বে বর্ধিত হার প্রত্যাহার করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষা খাতে সৃষ্ট নানা সমস্যা সমাধানে সরকারকে কয়েকটি প্রস্তাবও দেওয়া হয়। সেগুলো হলো কল্যাণ ট্রাস্ট ও অবসরসুবিধা বোর্ডের বর্তমান ও সাবেক সদস্য এবং শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী প্রতিনিধিদের নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে জরুরিভিত্তিতে মতবিনিময় সভা, সুনির্দিষ্ট সময় বেঁধে দিয়ে চাঁদা বৃদ্ধির প্রচলিত হারের পক্ষে-বিপক্ষে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে লিখিত মতামত আহ্বান, প্রতি বাজেটে বেসরকারি শিক্ষক–কর্মচারীদের অবসরকালীন আর্থিক সুবিধা নিশ্চিতকরণে সহায়ক অঙ্কের অর্থ বরাদ্দ ও ব্যাংক, বিমা, শিল্পপ্রতিষ্ঠান থেকে করপোরেট সোশ্যাল রেসপনসিবিলিটি কর্মসূচির সঙ্গে সমন্বয় সাধন এবং কল্যাণ ট্রাস্ট ও অবসরসুবিধা বোর্ডের আর্থিক সুবিধা বৃদ্ধি করতে বন্ড চালু।
সংবাদ সম্মেলনে বেসরকারি শিক্ষকদের পদোন্নতি, টাইম স্কেল, ৫ শতাংশ বার্ষিক প্রবৃদ্ধি, পূর্ণাঙ্গ অবসরভাতা, পূর্ণ উৎসব ও বৈশাখী ভাতা, এমপিও বঞ্চিত শিক্ষকদের এমপিও প্রদান, শিক্ষাক্ষেত্রে বৈষম্য দূর, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্যবস্থাপনায় ‘অনভিপ্রেত’ হস্তক্ষেপ বন্ধের দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বৃহস্পতিবার এই দাবিতে রাজশাহীতে মানববন্ধন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। এ ছাড়া আগামী রোববার ফ্রন্টের নেতাদের দাবির সপক্ষে প্রতিটি উপজেলা সদরে মিছিল এবং ৩০ জুলাই জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে শিক্ষামন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপিও দেওয়া হবে। এরপর অপেক্ষা করা হবে ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। এ সময়ে তাঁদের দাবি বাস্তবায়ন না হলে বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলেও জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ফ্রন্টের যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যক্ষ রাজকুমার সরকার, আব্দুল বারি ও অধ্যক্ষ আব্দুর রাজ্জাক, অধ্যক্ষ আমিনুর রহমান, অধ্যক্ষ আলমগীর মালেক, অধ্যক্ষ নুরুল ইসলাম, এস এম রেজাউল ইসলাম, আশরাফুল ইসলাম, মজিবুর রহমান, শাহাবুদ্দিন, আব্দুল মুমিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।