ঘূর্ণিঝড় মহাসেনের আঘাতে বরিশালের বিভিন্ন উপজেলা ও পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় ফসলের ক্ষতি হয়েছে।
ভেঙে গেছে বহু কাঁচা ঘরবাড়ি। ঢাকার বাইরে প্রথম আলোর আঞ্চলিক কার্যালয় ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর:
বরিশাল: গতকাল সকাল নয়টায় বরিশালের উপকূলীয় এলাকায় মহাসেন আঘাত হানে। ঝড়ে জেলার ১০
উপজেলার অনেক কাঁচা ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
ঘূর্ণিঝড় পুনর্বাসন কেন্দ্র ও জেলা প্রশাসকের নিয়ন্ত্রণকক্ষ জানায়, ঝোড়ো বাতাসে গাছ ভেঙে পড়ে
বরিশাল-কুয়াকাটা সড়কে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ ছিল। সদর উপজেলার বেলতলা ফেরিঘাটের পন্টুন
ডুবে গেছে। এ ছাড়া বাকেরগঞ্জ, মেহেন্দীগঞ্জ, হিজলা ও মুলাদী উপজেলায় বেশ কিছু কাঁচা ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত
হয়েছে। জলোচ্ছ্বাস ও প্রবল বর্ষণে নিম্নাঞ্চল ডুবে গেছে। এতে তরমুজসহ অন্যান্য ফসলের ক্ষতি হয়।
জেলা প্রশাসক মো. শহীদুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, আগেই সতর্ক হওয়ায় ক্ষতি কমানো সম্ভব হয়েছে।
গৌরনদী (বরিশাল): দমকা ও ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে ভারী বর্ষণে বরিশালের গৌরনদী ও আগৈলঝাড়া
উপজেলায় স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হয়।
গৌরনদীর একজন কৃষি কর্মকর্তা জানান, ভারী বর্ষণ ও ঝোড়ো হাওয়ায় প্রায় ৩০০ হেক্টর জমির বোরো ধান
এবং পানি জমে ২০০ হেক্টর জমির পাটের ক্ষতি হয়েছে। আগৈলঝাড়া উপজেলার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা
মো. খলিলুর রহমান বলেন, উপজেলার প্রায় ২৫০ হেক্টর জমির বোরো ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ছাড়া ২০০
হেক্টর পাটখেত বিনষ্ট হয়েছে।
মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর): উপজেলার সাপলেজা, আমড়াগাছিয়া, বেতমোর রাজপাড়া ও বড় মাছুয়া ইউনিয়নের
শতাধিক কাঁচা ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসব এলাকার কয়েক হাজার গাছপালা উপড়ে ও ভেঙে পড়েছে।
উপকূলীয় এলাকায় রবিশস্যের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে এবং মাছের ঘের ও পুকুরের মাছ পানিতে ভেসে গেছে।
বেতমোর রাজপাড়া ইউপির চেয়ারম্যান এস এম ফেরদৌস জানান, ভারী বর্ষণের কারণে মাঝের চরে
জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় রবিশস্যের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। চরের পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় পুরো চর
জলমগ্ন হয়ে পড়েছে।