Thank you for trying Sticky AMP!!

করোনাভাইরাস: কাল নামছে সশস্ত্র বাহিনী

ফাইল ছবি


সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে আগামীকাল মঙ্গলবার (২৪ মার্চ) থেকে সশস্ত্র বাহিনী নিয়োজিত হচ্ছে। বিভাগীয় ও জেলা শহরগুলোয় সামাজিক দূরত্ব ও সতর্কতামূলক ব্যবস্থার জন্য বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা দিতে সশস্ত্র বাহিনী নিয়োজিত হবে।

সচিবালয়ে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে আজ সোমবার এ ধরনের ১০টি সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। তিনি বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে সব সরকারি অফিস আগামী ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।

সাধারণ ছুটির সময়ে সরকারি-বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকবে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সংবাদ সম্মেলনে বলেন, জেলা ম্যাজিস্ট্রেটদের সমন্বয়ে তাঁরা (সশস্ত্র বাহিনী সদস্যরা) জেলা ও বিভাগীয় করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসাব্যবস্থা, সন্দেহজনক ব্যক্তিদের কোয়ারেন্টিন ব্যবস্থা পর্যালোচনা করবেন। সশস্ত্র বাহিনী বিশেষ করে বিদেশফেরত ব্যক্তিদের মধ্যে কেউ নির্ধারিত কোয়ারেন্টিনে বাধ্যতামূলক সময় পালনে ত্রুটি বা অবহেলা করছেন কি না, তা পর্যালোচনা করবে। জেলা ম্যাজিস্ট্রেটরা এ জন্য স্থানীয় সশস্ত্র বাহিনী কমান্ডারের কাছে সশস্ত্র বাহিনী কর্তৃক অবস্থা পর্যালোচনার জন্য আইন অনুসারে অনুরোধ জানাবেন।

এর আগে মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, করোনাভাইরাসের কারণে ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সরকারি ছুটি থাকবে। এর মধ্য ২৯ মার্চ থেকে ২ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি থাকবে। এর আগে ও পরে ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসের ছুটি। ২৭ ও ২৮ মার্চের সাপ্তাহিক ছুটিও যোগ হবে। এ ছাড়া ৩ ও ৪ এপ্রিল সাপ্তাহিক ছুটি এ ছুটির সঙ্গে যোগ হবে। তবে এ ছুটি কাঁচাবাজার, খাবার, ওষুধের দোকান, হাসপাতাল এবং জরুরি সেবার জন্য প্রযোজ্য হবে না।

সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউসসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিবেরা উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও মুখ্য সচিব জানান, এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদের সঙ্গে তাঁদের পৃথকভাবে বৈঠক হয়। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী ১০ দফার ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

১০ সিদ্ধান্তের মধ্য রয়েছে গণপরিবহন চলাচল সীমিত রাখা, সব রকম সামাজিক, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় জনসমাগমে নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে নিম্ন আয়ের কোনো ব্যক্তি শহরে জীবনযাপনে অক্ষম হলে সরকার তাঁকে ঘরে ফেরা কর্মসূচির অধীনে নিজ গ্রাম বা ঘরে প্রয়োজনীয় সহায়তা দেবে। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসকেরা ব্যবস্থা নেবেন।

এর আগে করোনাভাইরাসের কারণে ৩১ মার্চ পর্যন্ত সব স্কুল–কলেজ বন্ধ ঘোষণা করে দেওয়া হয়। উচ্চমাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে। ১ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়ার কথা উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা।