কুষ্টিয়ায় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় কোনো মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি। সর্বশেষ গত ১৮ জুন জেলায় করোনায় কোনো মৃত্যু ছিল না। প্রতিদিনই ৬ থেকে ৭ জন করে করোনা রোগী মারা গেলেও দীর্ঘ দুই মাস পর জেলায় এমন ঘটনা ঘটল। এক সপ্তাহ ধরে হাসপাতালে রোগী ভর্তিও কমছে।
টানা আড়াই মাস পর করোনার দাপট কমায় চিকিৎসকেরা আশার আলো দেখতে পাচ্ছেন। করোনা শনাক্তের হার ২০–এর একটু বেশি। তবে এই হার আরও না কমা পর্যন্ত জেলাবাসীকে সচেতন থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন চিকিৎসাসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
কুষ্টিয়ায় গত ২৪ ঘণ্টায় (গতকাল বুধবার সকাল আটটা থেকে আজ বৃহস্পতিবার সকাল আটটা পর্যন্ত) করোনায় কেউ মারা যাননি। কুষ্টিয়া করোনা হাসপাতালে করোনার উপসর্গ নিয়ে তিনজন মারা গেছেন। একই সময়ে জেলায় ৭৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। ৩২৬ জনের নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ২৩ দশমিক ৩১।
আট দিনের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, আগস্টে জেলায় এখন পর্যন্ত ১৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। জুলাইয়ে মারা গেছেন ৩৪২ জন। জুনে ৯৯ জন মারা গেছেন। জুলাইয়ে ১০ থেকে ১২ জন রোগী মারা গেছেন। সেখানে আগস্টে মারা যাচ্ছেন ৫ থেকে ৬ জন।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) আশরাফুল আলম বলেন, বর্তমানে করোনা হাসপাতালে ১১৯ জন করোনায় আক্রান্ত রোগী ও ৪০ জন উপসর্গ নিয়ে মোট ১৫৯ জন ভর্তি আছেন। ২৪ ঘণ্টায় নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন ১০ জন। সুস্থ হয়েছেন ১৩ জন।
হাসপাতালের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ এ এস এম মুসা কবির প্রথম আলোকে বলেন, করোনা শনাক্তের হার কমছে। মৃত্যুহারও কমতির দিকে। এটা ভালো দিক। তবে এই হার কমাতে হলে স্বাস্থ্যবিধি সঠিকভাবে মেনে চলতে হবে। আজ থেকে পর্যটন এলাকাসহ সবকিছু আরও স্বাভাবিক হচ্ছে। তাই স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মেনে চলার কোনো বিকল্প নেই।