কেমন হবে ২০২৪ সালের বাংলাদেশ?

কেমন হবে ২০২৪ সালের বাংলাদেশ? খুনসুটি, আড্ডা, প্রত্যয় ও আশাবাদে ২০২৪ সালের বাংলাদেশের কথা বললেন খেলা, সংগীতসহ বিভিন্ন অঙ্গনের তরুণেরা।
বাংলা একাডেমিতে পাঠকমেলার উদ্বোধনী পর্ব শেষে আয়োজন করা হয় ‘না টক শো’য়ের। এটির সঞ্চালনা করেন প্রথম আলোর সহযোগী সম্পাদক আনিসুল হক। বিভিন্ন অঙ্গনের তরুণ তারকারা ২০২৪ সালের বাংলাদেশ ও তাঁদের স্বপ্ন নিয়ে কথা বলেন এই পর্বে।
ক্রিকেটার তাকসিন আহমেদ, নাসির আহমেদ, সংগীতশিল্পী এমিল, কোনাল, উপস্থাপিকা নাবিলা, বাংলাদেশের নামে জামদানির পেটেন্ট নিয়ে কাজ করা বিপাশা মতিন, ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউশন অব টেকনোলজি (এমআইটি) থেকে পড়ে আসা নাজিয়া এই পর্বে অংশ নেন। শুরুতেই জামদানির পেটেন্ট অর্জনের গল্প বললেন তরুণ উদ্যোক্তা বিপাশা মতিন। তিনি বললেন, ‘“ভারত জামদানির পেটেন্ট করার কাজ শুরু করেছে”, সংবাদটি পড়ে “দেশটা রসাতলে গেল” বলে পত্রিকাটা ছুড়ে ফেলে বসে থাকতে পারতাম। কিন্তু আমরা সেটি করিনি। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে গিয়েছি। তাঁরা শুরুতে সেভাবে গুরুত্ব দেননি। আমরা গুরুত্বের কথা বুঝিয়েছি। এরপর কয়েকজন মিলে সারা দেশে ক্যাম্পেইন করে ডকুমেন্ট তৈরি করে দিয়েছি। এভাবেই অর্জিত হয়েছে জামদানির পেটেন্ট।’
‘ক্রিকেটারকে কাছে পেয়ে লোভ সামলাতে পারছি না। তাঁদের কাছে আমার দাবি, ২০২৪ সালের মধ্যে বাংলাদেশ একবার হলেও যেন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়।’ এ দাবি এমআইটি ফেরত নাজিয়ার। অভিনেত্রী তিশা বললেন, ‘ওই সময়ে দেশ নিয়ে আমাদের যেন কোনো আক্ষেপ না থাকে।’
২০২৪ সালে আরও মৌলিকতা আসবে বাংলাদেশের গানে—এমন আশাবাদ সংগীতশিল্পী এমিলের। তিনি বললেন, সে সময় বাংলা গান পৃথিবীর সর্বত্র ছড়িয়ে যাবে। ২০২৪ সালেই বিশ্বকাপ জেতার আশাবাদ শোনালেন ক্রিকেটার নাসির হোসেন। তবে এর জন্য পরিশ্রম এবং যার যা কাজ তা গুরুত্ব দিয়ে করার কথা বললেন তিনি।
বাংলাদেশকে তাঁর স্বপ্নের ঊর্ধ্বে দেখতে চান উপস্থাপিকা নাবিলা। এর জন্য আগে নিজেকে বদলানোর কথা বললেন তিনি। গায়িকা কোনাল বললেন পাইরেসি বন্ধ করার কথা। আমাদের সংগীতকে বাঁচিয়ে রাখতে সবাইকে কিনে গান শোনার অনুরোধ করলেন তিনি।
এই পর্ব শেষে সবাই মিলে গাইলেন ‘আমরা করব জয়’ গানটি।
অবশ্য সারা দিন অনুষ্ঠানে আগতদের হাতে হাতে ঘুরছিল ২০২৪ সালের ৭ নভেম্বরের প্রথম আলো। পত্রিকার তরুণ কর্মীরা চার পাতার ওই ক্রোড়পত্রে তুলে ধরেছিলেন তাঁদের স্বপ্নের কথা।