খুলনা শহরে যত্রতত্র গতিরোধক, রং নেই

এ রকম অনেক গতিরোধক রয়েছে খুলনার রাস্তায়। কিন্তু বেশির ভাগেই রং নেই। ফলে ঝুঁকি নিয়ে চলছে যান। ছবিটি বাংলাদেশ বেতার খুলনা কার্যালয়ের সামনে থেকে তোলা l প্রথম আলো
এ রকম অনেক গতিরোধক রয়েছে খুলনার রাস্তায়। কিন্তু বেশির ভাগেই রং নেই। ফলে ঝুঁকি নিয়ে চলছে যান। ছবিটি বাংলাদেশ বেতার খুলনা কার্যালয়ের সামনে থেকে তোলা l প্রথম আলো

শহরের ভেতর দিয়ে যাওয়া মহাসড়কসহ অন্যান্য সড়কে যত্রতত্র গতিরোধক তৈরি করা হয়েছে, যেগুলোর বেশির ভাগেই রং করা নেই। এর ফলে এসব গতিরোধক এখন ঝুঁকি ও দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
খুলনা সিটি করপোরেশন এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ) বলছে, মহাসড়কে গতিরোধক না রাখার নিয়ম আছে। কিন্তু এ মহাসড়কে অপরিকল্পিতভাবে অনেক গতিরোধক তৈরি করা হয়েছে, যা এলাকাবাসী, রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী ও বিভিন্ন বাহিনীর লোকজন তৈরি করেছেন। তাই এগুলোতে রং করা তাঁদেরই দায়িত্ব। এর জন্য সিটি করপোরেশনে কোনো বরাদ্দ নেই।
সরেজমিনে দেখা গেছে, দৌলতদিয়া-মাগুরা-ঝিনাইদহ-যশোর-খুলনা-মংলা সড়কে শহরের খুলনা বেতার, বয়রা কলেজ মোড়, বৈকালী বাজার, গোয়ালখালী মোড়, বিএল কলেজ মোড়, দৌলতপুর থানা মোড়, রেলগেট, মানিকতলা মোড়, ফুলবাড়ি গেট, আফিল গেট মোড়, পুলিশ ট্রেনিং সেন্টার, শিরোমণি বাজার, পথের বাজার ও জাহানাবাদ সেনানিবাস এলাকায় অন্তত ৩০টি গতিরোধক আছে।
এ ছাড়া সিটি করপোরেশনের অধীন সোনাডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড থেকে নতুন রাস্তা পর্যন্ত সড়কে রয়েছে ১০টি গতিরোধক। খুলনা সরকারি মহিলা কলেজ, নিরালা এলাকায় মার্কাস মসজিদ, বিআইডিসি সড়ক, বয়রা বাজার মোড় থেকে রয়েল মহল পর্যন্ত সড়কেও আছে অনেক গতিরোধক, যার বেশির ভাগই রংহীন ও প্রয়োজনের তুলনায় উঁচু।
নগরবাসী জানিয়েছেন, সোনাডাঙ্গা-নতুন রাস্তা সড়কে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালসহ বেশ কিছু বেসরকারি চিকিৎসাকেন্দ্র (ক্লিনিক) রয়েছে। এসব হাসপাতাল ও ক্লিনিকে আসা রোগী ও তাদের স্বজনেরা গতিরোধকের কারণে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে।
শহরের মুজগুন্নী এলাকার জিয়াউল আলম বলেন, জীবন বাঁচাতে গতিরোধক তৈরি করা হয়। কিন্তু এই গতিরোধকই মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। রং না থাকায় এসব গতিরোধকের কারণে রাতে মারাত্মক বিপত্তিতে পড়তে হয়।
এ বিষয়ে খুলনা সিটি করপোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী-২ লিয়াকত আলী খান বলেন, ‘আমরা গতিরোধক নির্মাণে নিরুৎসাহিত করি। কিন্তু স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা, বাজার কর্তৃপক্ষ ও আবাসিক এলাকার বাসিন্দারা গতিরোধক তৈরি করেন। যাঁরা এগুলো তৈরি করেন তাঁদেরই রং করা উচিত। এ জন্য আপাতত কোনো বরাদ্দ নেই। তারপরও চাহিদার আলোকে রং করে দেওয়া যেতে পারে।’
সওজ খুলনার তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ফকির আবদুর রব বলেন, জাতীয় মহাসড়কে গতিরোধক না রাখার নিয়ম আছে। সওজ এসব গতিরোধক তৈরি করতে চায় না। কিন্তু বিভিন্ন সময়ে লোকজন এগুলো তৈরি করেন। বিষয়টি পুলিশ কমিশনারকে জানানো হয়েছে। পুলিশ প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সহযোগিতা পেলে গতিরোধকগুলো ভেঙে দেওয়া বা কমিয়ে ফেলা হবে।