
নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস চলে যাওয়ার পর দৈনন্দিন কাজেই সীমাবদ্ধ গ্রামীণ ব্যাংক। সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ড. ইউনূস যে কাঠামো ও ব্যবস্থাপনাপদ্ধতি তৈরি করে গেছেন, সেভাবেই তাঁর অনুসারীরা গ্রামীণ ব্যাংক চালাচ্ছেন।
গ্রামীণ ব্যাংকের শাখার কর্মীরা প্রতিদিন সকালে ‘কেন্দ্র’ বসান। ‘কেন্দ্রে’ ঋণের কিস্তি দেন সদস্যরা। আবার সদস্যদের ঋণপ্রস্তাবও গ্রহণ করা হয়। এরপর এক সপ্তাহের মধ্যে সেই ঋণ অনুমোদন ও ছাড় করা হয়। স্থায়ী ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও চেয়ারম্যান ছাড়া আগের মতোই চলছে গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিদিনের কার্যক্রম।
২০১১ সালের মে মাসে মুহাম্মদ ইউনূস গ্রামীণ ব্যাংক থেকে চলে যাওয়ার পর গত দুই বছরেরও বেশি সময়ে ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) নিয়োগ দেওয়া সম্ভব হয়নি। আর সম্প্রতি গ্রামীণ ব্যাংকের চেয়ারম্যান খন্দকার মোজাম্মেল হক পদত্যাগ করেন।
এর ধারাবাহিকতায় গত তিন বছরে মুনাফা হয়েছে ঠিকই, কিন্তু মাঠপর্যায়ে ব্যাংকের কর্মী, সদস্যদের মধ্যে এখনো রয়েছে আস্থাহীনতা, অনিশ্চয়তা। তাঁদের মধ্যে কর্মোদ্দীপনার অভাব দেখা দিয়েছে। ব্যাংকটির কার্যক্রম সম্প্রসারণে নতুন কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। সদস্যসংখ্যা খুব একটা বাড়েনি।
গত তিন বছরে (২০১০ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত) গ্রামীণ ব্যাংকের মাত্র দুটি নতুন শাখা চালু হয়েছে। কর্মী বেড়েছে মাত্র ছয়জন। আবার একই সময়ে ঋণ প্রদানের প্রবৃদ্ধিও আগের তুলনায় কমে গেছে।
গ্রামীণ ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক নূরজাহান বেগম প্রথম আলোকে বলেন, মুহাম্মদ ইউনূস যে কাঠামোর ও ব্যবস্থাপনার ওপর গ্রামীণ ব্যাংক তৈরি করেছেন, এর ব্যত্যয় না হলে আগামী ১০০ বছরেও একই ধারাবাহিকতায় চলবে। তিনি (মুহাম্মদ ইউনূস) কর্মী ও সদস্যদের মধ্যে একধরনের কর্মোদ্দীপনা তৈরি করতে পারেন। এখন কর্মীদের মধ্যে আগের মতো উদ্দীপনা নেই। গ্রামীণ ব্যাংক এখন স্রোতহীন নদীর মতো চলছে।
একই ধরনের কথা বলেন গ্রামীণ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের ঋণগ্রহীতা পরিচালক তাহসিনা খাতুন। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, মাঠপর্যায়ে কোনো সমস্যা হচ্ছে না। তবে সদস্যদের মধ্যে আস্থাহীনতা রয়েছে।
গ্রামীণ ব্যাংককে ১৯ টুকরা করার সুপারিশ করেছে সরকার গঠিত গ্রামীণ ব্যাংক কমিশন। এ ছাড়া গ্রামীণ ব্যাংকে সরকারি শেয়ার ৫১ শতাংশে উন্নীত করা এবং পরিচালনা পর্ষদের ঋণগ্রহীতা নারী পরিচালক নির্বাচনের বিধিমালা পরিবর্তনের সুপারিশ করেছে কমিশন।
চেয়ারম্যান খন্দকার মোজাম্মেল হক বলেন, একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে সরকার চাইলে গ্রামীণ ব্যাংক নিজের নিয়ন্ত্রণে নিতে পারে। গ্রামীণ ব্যাংকের মালিক এর সদস্যরা নন। তাঁরা শেয়ার কিনে বিনিয়োগ করেছেন, সেই বিনিয়োগের বিপরীতে সরকার তাঁদের প্রতি বছর লভ্যাংশ দিচ্ছে। নারী সদস্যদের বিনিয়োগ মালিকানার জন্য নয়, মুনাফার জন্য।
বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ সামগ্রিক বিষয় নিয়ে প্রথম আলোকে বলেন, চাপিয়ে দেওয়া ব্যবস্থাপত্রে গ্রামীণ ব্যাংকের লাভ হবে না। বরং হিতে বিপরীত হবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক এই উপদেষ্টা আরও বলেন, বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, গ্রামীণ ব্যাংক শুধু ক্ষুদ্রঋণের পথিকৃৎ নয়, এটি বাংলাদেশের অন্য ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানগুলোর তুলনায় সম্ভবত সবচেয়ে দক্ষ। মাঠপর্যায়ের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশের ক্ষুদ্রঋণ ব্যবস্থাপনায় ক্রমেই অনেক পরিবর্তন আনা হয়েছে। যে কারণে ক্ষুদ্রঋণ এত বিস্তৃতি লাভের পরও টেকসই হয়েছে। অভিজ্ঞতালব্ধ পরিবর্তন আনার ক্ষেত্রে গ্রামীণ ব্যাংক পথিকৃৎ হিসেবে কাজ করেছে।
অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদের মতে, গ্রামীণ ব্যাংকের কার্যক্রমসহ পুরো ক্ষুদ্রঋণ ব্যবস্থাটি ক্রমাগত পরিবর্তনশীল এবং এই পরিবর্তনকে স্বাভাবিক গতিতেই হতে দেওয়া উচিত।
সরেজমিনে সম্প্রতি গ্রামীণ ব্যাংকের সাভার শোভাপুর শাখায় দেখা গেছে, সব কাজই চলছে নিয়ম মেনে। প্রতিদিন সকালে ‘কেন্দ্র’ বসে। সেখানে কিস্তি জমা দেন গরিব ঋণগ্রহীতা সদস্যরা। নতুন ঋণ নিয়ে আলোচনা হয়, ঋণপ্রস্তাব গ্রহণ করে তা অনুমোদন করা হয়।
প্রসঙ্গত, প্রতিটি শাখার অধীনে ৭০ থেকে ৮০টি কেন্দ্র রয়েছে। মহল্লা বা গ্রামভিত্তিক এসব কেন্দ্র তৈরি করা হয়। গ্রামীণ ব্যাংকের প্রায় সব কার্যক্রম চলে কেন্দ্রভিত্তিক। শাখা কার্যালয়ে সদস্যদের খুব একটা আসতে হয় না।
সাভারের নামাগেন্ডা গ্রামের দিপালী আকতার শোভাপুর শাখা থেকে এই পর্যন্ত ছয়টি ঋণ নিয়েছেন। ছয় মাস আগে ১০ হাজার টাকার সর্বশেষ ঋণটি নেন তিনি। এই টাকা দিয়ে তিনি একটি সেলাই মেশিন কিনেছেন এবং মাসে তিন হাজার টাকা আয় করেন।
দিপালী আকতার প্রথম আলোকে জানান, মুহাম্মদ ইউনূস চলে যাওয়ার পরও ঋণ পেতে কোনো সমস্যা হয়নি। আগে যে প্রক্রিয়ায় ঋণ পেয়েছেন, একই প্রক্রিয়ায় ও যথাসময়ে সর্বশেষ ঋণটি পেয়েছেন।
শোভাপুর শাখার সদস্য ও কেন্দ্রপ্রধান শরীফা বেগমের ছেলে রিয়াজুল ইসলাম বর্তমানে মিরপুর বাঙলা কলেজে রসায়নে স্নাতকোত্তর পর্যায়ে পড়াশোনা করছেন। তাঁর ছেলে পড়াশোনার জন্য এক লাখ টাকা শিক্ষাঋণ নিয়েছেন। রিয়াজুল ইসলাম এই প্রতিবেদককে বলেন, ‘গ্রামীণ ব্যাংক না থাকলে আমার পড়াশোনা হতো না।’
গ্রামীণ ব্যাংকের অন্যতম শ্রেষ্ঠ শাখা হিসেবে বিবেচিত সাভার শোভাপুর শাখা তিন বছর ধরে মুনাফা করছে। সর্বশেষ ২০১২ সালে এক কোটি ২১ লাখ টাকা মুনাফা করে। এর আগের বছর এর পরিমাণ ছিল এক কোটি পাঁচ লাখ টাকা। অন্যদিকে ঋণ প্রদান ও আমানত সংগ্রহের পরিমাণও বেড়েছে। ২০১২ সালে আড়াই কোটি টাকার ঋণ দেওয়া হয়েছে। এর আগের বছর এর পরিমাণ ছিল দুই কোটি ১০ লাখ টাকা। গত বছর সদস্যরা সাড়ে সাত কোটি টাকার আমানত রেখেছেন শোভাপুর শাখায়। এর আগের বছর এর পরিমাণ ছিল পাঁচ কোটি টাকা। এই শাখায় পাঁচ হাজার ৪০০ সদস্য রয়েছেন।
সাভার এলাকা ব্যবস্থাপক (এরিয়া ম্যানেজার) আলী হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, গ্রামীণ ব্যাংকের মাঠপর্যায়ের কার্যক্রম নিয়মমাফিক চলছে। তবে আগের মতো সেই গতি নেই। মুহাম্মদ ইউনূস থাকলে নতুন নতুন সম্ভাবনা তৈরি হতো।
গাজীপুর জেলার গ্রামীণ ব্যাংকের বাসন শাখাটিও মুনাফায় আছে। ২০১২ সালে এই শাখাটি এক কোটি ১১ লাখ টাকা মুনাফা করেছে, যা আগের বছরের চেয়ে নয় লাখ টাকা বেশি। আর গত বছর ১৭ কোটি ৮৩ লাখ টাকা আমানত রেখেছেন সদস্যরা। আগের বছর এর পরিমাণ ছিল ১৬ কোটি ৯০ লাখ টাকা। এই শাখায় চার হাজার ৪৪৯ সদস্য রয়েছেন, এর মধ্যে প্রায় চার হাজারের মতো সক্রিয় সদস্য। গত দুই বছরে সদস্যসংখ্যা খুব একটা বাড়েনি।
গত ২৭ আগস্ট বাসন এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, শাখার কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবেই চলছে। প্রতিদিনই ১০ থেকে ১২টি কেন্দ্রের বৈঠক হচ্ছে। বাড়িয়ালি গ্রাম কেন্দ্রের প্রধান গ্রামীণ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য ছালেহা বেগম। তিনি ১৯৮৯ সালে প্রথম গ্রামীণ ব্যাংকের সদস্য হয়ে ঋণ নেন। তখন তিনি স্কুলের মাঠে চালাঘর করে থাকতেন। এখন বাড়িয়ালি গ্রামে তিনতলা বাড়ির মালিক। রয়েছে দুটি দোকান। ছালেহা বেগম এই প্রতিবেদককে জানান, সরকারের নানা ধরনের চাপে গ্রামীণ ব্যাংকের ভবিষ্যৎ নিয়ে সদস্যরা আতঙ্কে রয়েছে। এর ফলে নতুন সদস্যও বাড়ানো যাচ্ছে না।
আমাদের টাঙ্গাইল প্রতিনিধি জানান, এই অঞ্চলের গ্রামীণ ব্যাংক পরিচালনায় বিরূপ কোনো প্রভাব না পড়লেও কর্মকর্তারা নিজেদের অভিভাবক শূন্য মনে করছেন। টাঙ্গাইল জোনাল অফিসের প্রশাসনিক কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম জানান, টাঙ্গাইল জোনে ব্যাংকের ৭৮টি শাখা রয়েছে। সদস্যসংখ্যা তিন লক্ষাধিক। শুরুতে মুহাম্মদ ইউনূস চলে যাওয়ার পর অনেক কর্মকর্তার মধ্যে হতাশা নেমে এসেছিল। তাঁদের অনেকেই ভেবেছিলেন ইউনূসবিহীন গ্রামীণ ব্যাংকে ধস নামবে। কিন্তু বাস্তবে এমনটি ঘটেনি।
রাজশাহী থেকে আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক জানান, সেখানেও গ্রামীণ ব্যাংক ভালো চলছে। গ্রামীণ ব্যাংকের চারঘাট উপজেলার ইউসুফপুর শাখার ১৭ নম্বর ‘ম’ কেন্দ্রের কেন্দ্রপ্রধান হানুফা বেগম (৪৫) বলেন, ব্যাংক তো ভালোই চলছে। কোনো সমস্যা হচ্ছে না। তবে এমন একসময় ছিল তাঁদের মতো নারীদের কেউ ধার-কর্য দিত না। এখন আর সেই সমস্যা নেই। তাঁদের এই সম্মানের জায়গাটা মুহাম্মদ ইউনূসই করে দিয়েছেন।
চট্টগ্রাম থেকে প্রতিনিধি জানান, গ্রামীণ ব্যাংকের প্রথম কেন্দ্রের অবস্থান চট্টগ্রামের জোবরা গ্রামের আলাওল পাড়ায়। আলাওল পাড়ায় দুটি কেন্দ্র রয়েছে। ১ নম্বর কেন্দ্রে গত বছর দেড়েকের মধ্যে সদস্যসংখ্যা কমেছে প্রায় অর্ধেক। আগে যেখানে সদস্যা ছিলেন ৬৫ জন, বর্তমানে সেখানে আছেন মাত্র ৩৫ জন।
বরগুনা থেকে নিজস্ব প্রতিবেদক জানান, ব্যাংকটির কর্মীরা আগের মতো কাজ করলেও গত কয়েক বছর ধরে পটুয়াখালী ও বরগুনা জেলার শাখাগুলোতে কুঋণের পরিমাণ বেড়েছে। ফলে তিন-চার বছর ধরে বরগুনা-পটুয়াখালী দুই জেলার গ্রামীণ ব্যাংকের নয়টি এলাকা কার্যালয়ের মধ্যে শুধু বাউফল ছাড়া অন্যগুলোতে লোকসান হচ্ছে। সদস্যসংখ্যাও তেমন বাড়ছে না।
যোগাযোগ করা হলে বরগুনা সদরের এলাকা ব্যবস্থাপক দুলাল কৃষ্ণ বল প্রথম আলোকে বলেন, ‘বরগুনা ও পটুয়াখালী জেলা দুর্যোগপ্রবণ বলে এখানে প্রায়ই কিস্তি আদায় বন্ধ রাখতে হয়। এ জন্য অনেক ঋণ বকেয়া পড়ে গেছে। তবে আমাদের আদায় ৯৮ ভাগ এটা ঠিকই আছে।’
আর্থিক ও ব্যবস্থাপনা পরিস্থিতি: ২০১০ সালে ৭৫ কোটি টাকা মুনাফা করেছে ব্যাংকটি। পরের বছর মুনাফা কিছুটা কমে গিয়ে ৬৮ কোটি টাকায় নামে। ২০১২ সালে তা দ্বিগুণ হয়ে ১৪৫ কোটি টাকা মুনাফা করে গ্রামীণ ব্যাংক। ২০১১ ও ২০১২ সালে গ্রামীণ ব্যাংকের সদস্যরা ৩০ শতাংশ করে নগদ লভ্যাংশ পেয়েছেন।
২০১০ সালে গ্রামীণ ব্যাংকে মোট দুই হাজার ৫৬৫টি শাখা ছিল। পরের দুই বছরে মাত্র দুটি নতুন শাখা খোলা হয়েছে। অন্যদিকে আলোচ্য সময়ে মাত্র ছয়জন কর্মী বেড়েছে। ২০১২ সালের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত মোট কর্মীর সংখ্যা ২২ হাজার ২৬১। ২০১০ সালে ২২ হাজার ২৫৫ জন কর্মী ছিল।
তবে গত তিন বছরে গ্রামীণ ব্যাংকের সদস্যসংখ্যা ৩০ হাজার বেড়েছে। ২০১২ সালে এই ব্যাংকটিতে ৮৩ লাখ ৪০ হাজার সদস্য ছিল। এখন সদস্যসংখ্যা বেড়ে ৮৩ লাখ ৭০ হাজার হয়েছে। এর মধ্যে ৯৬ দশমকি ২৩ শতাংশ নারী সদস্য।
গ্রামীণ ব্যাংকের ঋণ প্রদানের প্রবৃদ্ধি কমেছে। ২০০৮, ২০০৯, ২০১০ সালে ঋণ প্রদানের প্রবৃদ্ধি ২০ শতাংশের বেশি ছিল। তবে ২০১১ ও ২০১২ সালে ঋণের প্রবৃদ্ধি ধারাবাহিকভাবে কমেছে। ২০১২ সালে ঋণের প্রবৃদ্ধি হয়েছে মাত্র ৬ দশমিক ৬ শতাংশ।
সদস্যদের মধ্যে ঋণ প্রদান ও আমানত গ্রহণের পরিমাণ আগের চেয়ে বেড়েছে। সর্বশেষ ২০১২ সালে ১১ হাজার ৮৬০ কোটি টাকা ঋণ ছাড় করা হয়েছে। সে বছর সদস্যদের কাছ থেকে সাত হাজার ৯২৩ কোটি টাকার আমানত গ্রহণ করেছিল গ্রামীণ ব্যাংক। ২০১১ সালে সদস্যদের কাছ থেকে ছয় হাজার ৬৮২ কোটি টাকার আমানত নিয়েছে। সে বছর ঋণকৃত অর্থ ছাড়ের পরিমাণ ছিল ১০ হাজার ৮৫৩ কোটি টাকা।
গ্রামীণ ব্যাংক কর্মচারী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মহসীন রেজা চৌধুরী বলেন, গত দু-তিন বছরে গ্রামীণ ব্যাংকের আর্থিক খাত ভালো চলছে। তবে প্রশাসনিক ক্ষেত্রে গতিশীলতার অভাব রয়েছে।