ঘুঘুর ফাঁদে ঘুঘু শিকার

উদ্ধার করা ঘুঘুসহ অন্য পাখিগুলো। ছবি: প্রথম আলো
উদ্ধার করা ঘুঘুসহ অন্য পাখিগুলো। ছবি: প্রথম আলো

ঘুঘুকে দিয়ে ফাঁদ বানিয়ে ঘুঘুকে খাঁচায় বন্দী করা হচ্ছে। নতুন ঘুঘুকে

ঘুঘু শিকারের অভিযোগে নাটোর থেকে লাল মিয়াকে আটক করেছে রাজশাহীর বন বিভাগের একটি দল। ছবি: প্রথম আলো

খাঁচায় ভরে পুরোনো ঘুঘুটিকে বিক্রি করা হচ্ছে উচ্চ মূল্যে। এভাবে ঘুঘু শিকারের অভিযোগে নাটোর থেকে লাল মিয়া নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে রাজশাহীর বন বিভাগের একটি দল।
গ্রেপ্তার হওয়া লাল মিয়াকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে এক মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন নাটোর জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাহাঙ্গীর আলম।
রাজশাহীর বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোল্যা রেজাউল করিমের নেতৃত্বে গতকাল রোববার বিকেলে নাটোরের নলডাঙ্গা থানার কৃষ্ণপুরদিঘা গ্রামে অভিযান চালিয়ে লাল মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাঁর কাছে চারটি শিকারি ঘুঘুসহ মোট নয়টি ঘুঘু, একটি ডাহুক ও একটি টিয়া পাখি উদ্ধার করে অভিযানকারীরা।
মোল্যা রেজাউল করিম প্রথম আলোকে জানান, দীর্ঘদিন ধরে ঘুঘু শিকারের কাজ করে আসছেন লাল মিয়া। প্রথমে একটি ঘুঘুকে শিকারি বানানো হয়। এ জন্য তার দুই পাখার বড় দুটি পালক ফেলে দেন লাল মিয়া। এতে করে ঘুঘুটি আর উড়তে পারে না। এরপর দীর্ঘদিন একধরনের শিস বাজানো হয় ঘুঘুর সামনে। শিস শুনে শুনে ঘুঘু নিজেই ডাকাডাকি শুরু করে। তার ডাকে অন্য ঘুঘুও চলে আসে খাঁচার ভেতর। এ খাঁচাটিও অনেকটা ঘুঘুর বাসার মতো তৈরি। খাঁচায় বসিয়ে রাখা হয় ডানা কাটা শিকারি ঘুঘুকে। লাল মিয়া শিস বাজানোর সঙ্গে সঙ্গেই ডাকাডাকি শুরু করে ওই শিকারি ঘুঘু। তার ডাকে সাড়া দিয়ে আরেকটি ঘুঘু ঢুকে পড়ে খাঁচার ভেতর।
বন বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, পুরো উত্তরবঙ্গে এভাবেই পাখি ধরা হয়ে থাকে। গত এক বছরে ৪৭ জন পাখি শিকারিকে গ্রেপ্তার করে বিভিন্ন মেয়াদের সাজা দেওয়া হয়েছে।