Thank you for trying Sticky AMP!!

চাই না কোনো শিশু ক্ষুধা নিয়ে ক্লাস করুক: গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী

মো. জাকির হোসেন

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন বলেন, ‘শিশুদের আর বিস্কুট নয়, খাবার দেওয়া হবে। আমরা চাই শিশুদের যেন ক্ষুধা নিয়ে ক্লাস করতে না হয়। প্রতিটি শিশুকে তিন দিন সবজি খিচুড়ি, বাকি তিন দিন ডিম খিচুড়ি দেওয়া হবে। কর্মসূচি পর্যায়ক্রমে দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পাবে।’

আজ মঙ্গলবার দুপুরে কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে রান্না করা গরম খিচুড়ির সঙ্গে ডিম ভুনা শিক্ষার্থীদের তুলে দিয়ে মিড ডে মিল কর্মসূচির উদ্বোধন করেন প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন। তিনি বলেন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো থেকে শিক্ষার্থী ঝরে পড়া রোধ, শ্রেণিকক্ষে ধরে রাখা ও শিক্ষার মান বাড়াতে এ কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে জাতীয় স্কুল মিল নীতিমালা খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

আজকের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আকরাম হোসেন, মহাপরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. সোহেল আহাম্মেদ, প্রকল্প পরিচালক অতিরিক্ত সচিব রুহুল আমিন খান, অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) মো. বদরুল হাসান, রংপুর বিভাগীয় শিক্ষা কর্মকর্তা খন্দকার মো. ইকবাল হোসেন, কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোছা. সুলতানা পারভীন, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শহীদুল ইসলাম, আরডি আরএসের পরিচালক কর্মসূচি হুমায়ন খালিদ ও বিশ্ব খাদ্য সংস্থার পক্ষে বীথিকা বিশ্বাস, সহকারী পুলিশ সুপার মাহফুজার রহমান, রৌমারী উপজেলা চেয়ারম্যান শেখ আবদুল্লাহ ও রাজিবুর উপজেলা চেয়ারম্যান আকবর হোসেন।

অনুষ্ঠানে সচিব বলেন, রৌমারী ১১৬টি বিদ্যালয়ের মধ্যে ৪০টি এবং রাজিবপুর উপজেলায় ৫৮টি বিদ্যালয়ের মধ্যে ২৫টিতে আজ থেকে এ কার্যক্রম চালু করা হলো। এ নিয়ে সারা দেশে ১৬টি উপজেলায় খাবার বিতরণ শুরু হবে। ২০২৩ সালের মধ্যে দেশের সব বিদ্যালয়ে মিড ডে মিল চালু করা হবে।