চান্দিনার সুজন হত্যা মামলায় তিনজনের ফাঁসি
কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলায় মো. সুজন নামের এক তরুণকে হত্যার দায়ে তিনজনকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে। কুমিল্লার অতিরিক্ত দায়রা জজ চতুর্থ আদালতের বিচারক নুরুন নাহার বেগম গতকাল বৃহস্পতিবার ওই রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন চান্দিনা উপজেলার ছায়কোট গ্রামের আবুল কালাম (২৪), একই গ্রামের মো. সবুজ (২০) ও আজামপাড়া গ্রামের মো. তৌফিক (২০)। রায় ঘোষণার সময় আদালতে আসামিরা উপস্থিত ছিলেন। হত্যাকাণ্ডের শিকার সুজন মুরাদনগর উপজেলার কালাডুমুর গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে। তিনি মায়ের সঙ্গে চান্দিনা থাকতেন।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ সূত্রে জানা গেছে, ২০১২ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা নিয়ে মোটরসাইকেল কেনার জন্য বাড়ি থেকে বের হন সুজন। তাঁর বন্ধু আবুল কালাম, মো. তৌফিক ও মো. সবুজ ওই দিন রাতে ওই টাকা নেওয়ার জন্য তাঁকে নেশাজাতীয় কোমল পানীয় সেবন করিয়ে রাত সাড়ে ১২টার দিকে চান্দিনা মহিলা কলেজের পেছনের একটি জমিতে নিয়ে যান। সেখানে নেওয়ার পর তাঁরা ছুরি দিয়ে গলা কেটে তাঁকে হত্যা করে মোটরসাইকেল কেনার টাকা নিয়ে যান। ২১ সেপ্টেম্বর চান্দিনা মহিলা কলেজের পাশের একটি পরিত্যক্ত বাড়ি থেকে সুজনের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ওই রাতেই তাঁর মা জাহানারা বেগম আবুল কালাম, সবুজ ও তৌফিকের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। ২৫ সেপ্টেম্বর তিন আসামির ফাঁসির দাবিতে চান্দিনাবাসীর ব্যানারে চান্দিনা বাসস্ট্যান্ডে মানববন্ধন হয়। ২০১৩ সালের ৩০ জানুয়ারি চান্দিনা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) হেলাল উদ্দিন আদালতে অভিযোগপত্র দেন। গতকাল দুপুর ১২টায় কুমিল্লার অতিরিক্ত দায়রা জজ চতুর্থ আদালতের বিচারক নুরুন নাহার বেগম সুজনকে হত্যার জন্য দোষী সাব্যস্ত করে তিন আসামিকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার আদেশ দেন।
আরও পড়ুন
-
সাকিব দুষ্টুমি করে বলেছেন, ধারণা বিসিবি সভাপতির
-
গণতন্ত্রের ঘাটতি বাংলাদেশের নানা ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি করছে
-
ন্যাশনাল ব্যাংক দখল হয়নি এবং একীভূতও হবে না, বলেছেন নতুন চেয়ারম্যান
-
পাকিস্তান চুড়ি পরে বসে নেই: কাশ্মীর নিয়ে রাজনাথের বক্তব্য প্রসঙ্গে ফারুক আবদুল্লাহ
-
চট্টগ্রামে স্বস্তির বৃষ্টি যখন অস্বস্তি হয়ে ওঠে