ছোট মাহিমের বড় জয়

রিয়াদুল ইসলাম। ডাকনাম মাহিম। বয়স মাত্র ১০। এই অল্প বয়সেই জাতীয় পর্যায়ে পুরস্কার পেয়ে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে সে। গত ২৯ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার হাতে ওই পুরস্কার তুলে দিয়েছেন।
২০১৬ সালে আনুষ্ঠিত আন্তপ্রাথমিক বিদ্যালয় ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার একক অভিনয় শাখায় শ্রেষ্ঠ শিশুশিল্পী নির্বাচিত হওয়ায় এই বিরল সম্মান পেয়েছে মাহিম। সে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র। শমশেরনগর বাজারের ব্যবসায়ী লালনুর রহমান ও গৃহিণী রোকশানা আক্তারের দ্বিতীয় সন্তান সে। তাদের গ্রামের বাড়ি কুলাউড়া উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নের হাজীপুর গ্রামে।
বিদ্যালয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, মাহিম কমলগঞ্জ উপজেলা, মৌলভীবাজার জেলা ও সিলেট বিভাগের প্রতিযোগীদের হারিয়ে ঢাকায় জাতীয় পর্যায়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ পায়। সেখানেও সে সবাইকে হারিয়ে প্রথম স্থান অধিকার করে। গত ২৯ জানুয়ারি ঢাকায় ওসমানী মিলনায়তনে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পর্যায়ের শ্রেষ্ঠ শিশুশিল্পীদের মধ্যে পুরস্কার ও সনদ বিতরণ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই অনুষ্ঠানে মাহিমও প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে পুরস্কার ও সনদ গ্রহণ করে।
মাহিমের এই সাফল্যে শুধু শমশেরনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র ও শিক্ষকেরা নন, পুরো মৌলভীবাজার জেলার প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগ গর্ববোধ করছে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম বলেন, মাহিম জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ শিল্পী নির্বাচিত হওয়ায় তাঁরা গর্বিত। খুব শিগগিরই বিদ্যালয় থেকে তাকে সংবর্ধনা দেওয়া হবে।
কমলগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা গোকুলচন্দ্র দেবনাথ ও কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহমুদুল হক রিয়াদুল ইসলাম মাহিমের সাফল্যে আনন্দ প্রকাশ করে বলেন, সবগুলো প্রাথমিক ও উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জাতীয় পর্যায়ের বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে সহায়তা করা হবে। শিক্ষার্থীদের সহায়তা করলে ভবিষ্যতে কমলগঞ্জে আরও সাফল্য আসতে পারে।