Thank you for trying Sticky AMP!!

ছয় বেসরকারি মেডিকেল কলেজ অনুমতি পেল

ব্যাপক সমালোচনার মুখে এ বছরের শুরুতে কার্যক্রম স্থগিত করতে বাধ্য হয়েছিল এক ডজন বেসরকারি মেডিকেল কলেজ। গতকাল বুধবার এর ছয়টিকে কার্যক্রম চালানোর অনুমতি দিয়েছে সরকার।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম প্রথম আলোকে বলেন, শর্ত সাপেক্ষে মেডিকেল কলেজগুলোকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ছয় মাসের মধ্যে শর্ত পূরণ না করলে আবারও তাঁদের পরীক্ষার আওতায় আসতে হবে।
গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বরও শর্ত সাপেক্ষে মেডিকেল কলেজগুলোর অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল।
কার্যক্রম চালানোর অনুমতি পাওয়া মেডিকেল কলেজগুলো হলো রাজশাহীর শাহ মখদুম মেডিকেল কলেজ (উদ্যোক্তা সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী ওমর ফারুক চৌধুরী), ঢাকার কেয়ার মেডিকেল কলেজ (বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক কোষাধ্যক্ষ মো. মোয়াজ্জেম হোসেন), সিলেটের স্কাইভিউ মেডিকেল কলেজ (স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ইহেতেশামুল হক দুলাল), চট্টগ্রামের মেরিন পোর্ট সিটি মেডিকেল কলেজ (চট্টগ্রাম বিএমএর মহাসচিব মো. শরিফ, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের প্যানেল থেকে নির্বাচন করে তিনি জয়ী হন), ইউনিভার্সাল মেডিকেল কলেজ (আয়শা মেমোরিয়াল হাসপাতাল) এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ।
মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, বুধবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর তড়িঘড়ি করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক দিনে ১২টি মেডিকেল কলেজের অনুমোদন দেয়। শর্ত সাপেক্ষে অনুমোদন দেওয়ার পর এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে গত ২১ জানুয়ারি মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত বেসরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজে শিক্ষা ও ভর্তিসংক্রান্ত কমিটির সভায় এই ১২টি কলেজের ভর্তিসহ সব ধরনের কর্মকাণ্ড স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। এর এক দিন পর এক সংবাদ সম্মেলন করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম নতুন মেডিকেল কলেজগুলোর কার্যক্রম স্থগিত করার কথা সাংবাদিকদের জানান।
ওই বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোর বিরুদ্ধে প্রধান অভিযোগ ছিল, পর্যাপ্ত শিক্ষকের অভাব ও যে পরিমাণ জায়গার ওপর ক্যাম্পাস প্রতিষ্ঠা করার শর্ত আছে তা না থাকা। এ ছাড়া ৫০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি করালে ২৫০ শয্যার হাসপাতাল থাকতে হবে। কিন্তু অধিকাংশ কলেজের ২৫০ শয্যার হাসপাতাল ছিল না।
এর আগে নীতিমালা অনুসরণ না করে স্থাপিত বেসরকারি মেডিকেল কলেজের অনুমোদন বাতিলের দাবি জানিয়ে সরকারকে চিঠি দেয় চিকিৎসকদের জাতীয় সংগঠন বিএমএ। সংগঠনটি ওই চিঠিতে বলে, মানহীন বেসরকারি মেডিকেল কলেজ ইতিমধ্যে দেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে, ভবিষ্যতে সংকট আরও গভীর হবে।
তবে অনুসন্ধান শুরুর পরপরই প্রথমে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের নামে কিশোরগঞ্জে স্থাপিত মেডিকেল কলেজটি ছাড়পত্র পায়।