দেশের সদ্য বিলুপ্ত ৬১টি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানদের প্রশাসক নিয়োগ দিয়েছে সরকার। নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন পরিষদ দায়িত্ব নেওয়ার আগপর্যন্ত প্রশাসকেরা জেলা পরিষদের দায়িত্বে থাকবেন। আজ বুধবার স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
দেশের প্রথম নির্বাচিত জেলা পরিষদগুলোর মেয়াদ শেষ হয় জানুয়ারিতে। জেলা পরিষদে প্রশাসক নিয়োগের বিধানসহ আইনের বেশ কয়েকটি ধারা সংশোধন করে সম্প্রতি জেলা পরিষদ (সংশোধন) আইন পাস করেছে সরকার। এর ধারাবাহিকতায় ১৭ এপ্রিল ৬১টি জেলা পরিষদ বিলুপ্ত করা হয়। প্রশাসক নিয়োগের আগপর্যন্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তারা (সিইও) জেলা পরিষদের প্রশাসনিক ও আর্থিক ক্ষমতা পরিচালনা করবেন বলে স্থানীয় সরকার বিভাগ প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল।
আজ স্থানীয় সরকার বিভাগের প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, জেলা পরিষদ আইন ২০০০ [জেলা পরিষদ (সংশোধন) আইন, ২০২২] এর ধারা ৮২ এর উপধারা ২ অনুযায়ী, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হলো।
জেলা পরিষদ স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীন একটি স্তর। ২০০০ সালে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার নতুন জেলা পরিষদ আইন পাস করে। পার্বত্য চট্টগ্রামের তিনটি জেলা বাদে বাকি ৬১টি জেলা পরিষদে ২০১১ সালের ১৫ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাদের প্রশাসক নিয়োগ করে সরকার। দীর্ঘদিন অনির্বাচিত ব্যক্তিদের দিয়ে জেলা পরিষদ পরিচালনা করা হয়। ২০১৬ সালের ২৮ ডিসেম্বর স্থানীয় সরকার (জেলা পরিষদ) আইন, ২০০০-এর অধীনে প্রথম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
নির্বাচিত জেলা পরিষদের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই সরকার বিদ্যমান আইনের বেশ কিছু ধারা সংশোধনের উদ্যোগ নেয়। ৬ এপ্রিল জেলা পরিষদ (সংশোধন) বিল ২০২২ সংসদে পাস হয়। আগে নতুন জেলা পরিষদ গঠনের ক্ষেত্রে প্রশাসক নিয়োগের বিধান থাকলেও চলমান কোনো পরিষদের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর প্রশাসক নিয়োগের বিধান ছিল না। সংশোধিত আইন অনুযায়ী, জেলা পরিষদের মেয়াদ উত্তীর্ণ হলে এবং পরবর্তী পরিষদ গঠিত না হওয়া পর্যন্ত সরকার উপযুক্ত ব্যক্তিকে বা প্রজাতন্ত্রের কোনো কর্মকর্তাকে প্রশাসক নিয়োগ করতে পারবে। তবে প্রশাসকের মেয়াদ ১৮০ দিনের বেশি হবে না।