টেলিভিশন টক শোতে সরকারের ‘খবরদারি’ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন দেশের কয়েকজন বিশিষ্ট নাগরিক। গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভা থেকে এ উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।
প্রবীণ সাংবাদিক এবিএম মূসার আমন্ত্রণে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সাংবাদিক, আইনজীবী, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকসহ টেলিভিশন টক শোর ২৩ জন উপস্থাপক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক অংশ নেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত এবিএম মূসার পক্ষে মাহমুদুর রহমান মান্না মূল বিবৃতি পড়ে শোনান।
‘টেলিভিশন টক শো: সরকারের নিয়ন্ত্রণ প্রসঙ্গে নাগরিক উদ্বেগ’ শীর্ষক এ বিবৃতিতে অভিযোগ করা হয়, বিভিন্ন টিভি চ্যানেল থেকে টক শো উপস্থাপককে পরিবর্তন করা ও ভিন্নমতাবলম্বী রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের আমন্ত্রণ না জানাতে চাপ দেওয়া হচ্ছে। সরকার নিজেদের পছন্দসই আলোচকদের আমন্ত্রণ জানাতে চাপ দিচ্ছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ইতিপূর্বে আমরা লক্ষ করেছি যে দেশের প্রধানমন্ত্রীসহ সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের ব্যক্তিরা টক শোতে মুক্ত মত প্রদানের নাগরিক অধিকারের বিরুদ্ধে বিভিন্নভাবে বিরাগ, বিরক্তি ও অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় টক শো নিয়ন্ত্রণমূলক বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করে সরকার ভিন্নমত দমন করার যে প্রচেষ্টাগুলো চালাচ্ছে, আমরা তাকে অগণতান্ত্রিক ও অসাংবিধানিক বলে মনে করি।’
বিশিষ্ট আইনজীবী শাহদীন মালিক মত প্রকাশের অধিকার সংকোচনে সরকারের বিভিন্ন ভূমিকায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
নিউএজ সম্পাদক নুরুল কবির বলেন, জনবিচ্ছিন্ন সরকারের সবচেয়ে বেশি আক্রোশ থাকে তাদের যৌক্তিকভাবে সমালোচনকারী এবং ভিন্নমতাবলম্বী মানুষের প্রতি। বর্তমান সরকারের মধ্যে ঠিক এ ধরনের প্রবণতা দেখা যাচ্ছে।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন অধ্যাপক আসিফ নজরুল। আরও বক্তব্য দেন, বদিউল আলম মজুমদার, সাংবাদিক রিয়াজউদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন ও দিলারা চৌধুরী। উপস্থিত ছিলেন মাহফুজুল্লাহ, মতিউর রহমান চৌধুরী, মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর, পিয়াস করিম, নাঈমুল ইসলাম খান, মনজুরুল ইসলাম, রোবায়েত ফেরদৌস, গোলাম মাওলা রনি, আশরাফ কায়সার, তুহিন মালিক, গোলাম মোর্তজা, মনির হায়দার, জামিল আহমেদ প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি।