এম এ আজিজ ও নূরুল ইসলামের স্মরণসভায় প্রধানমন্ত্রী

ত্যাগী নেতা-কর্মীদের জন্যই টিকে আছে আওয়ামী লীগ

রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে গতকাল প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা এম এ আজিজের স্মরণসভায় বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা l ছবি: প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়
রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে গতকাল প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা এম এ আজিজের স্মরণসভায় বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা l ছবি: প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগের বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মীর আত্মত্যাগের জন্যই দলটির কেউ ক্ষতি করতে পারেনি। আওয়ামী লীগে অনেক ত্যাগী নেতা ছিলেন বলেই বারবার আঘাত করেও কেউ এ দলকে নিশ্চিহ্ন করতে পারেনি। দেশের স্বাধীনতাসংগ্রাম, গণতন্ত্র ও স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে ভূমিকা রাখার জন্য দলের সব ত্যাগী নেতার নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।
আওয়ামী লীগ নেতা এম এ আজিজ এবং নূরুল ইসলামের স্মরণসভায় শেখ হাসিনা এ কথা বলেন। রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে গতকাল মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ এ সভার আয়োজন করে।
শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ অনেক ত্যাগী ও অঙ্গীকারবদ্ধ নেতা তৈরি করেছে। সে কারণেই দেশের সবচেয়ে পুরোনো এই রাজনৈতিক দলের ওপর বারবার আঘাত এলেও কেউ দলের ক্ষতি করতে পারেনি। নেতারা দলীয় আদর্শ ও নীতিতে বিশ্বাসী এবং তাঁরা অর্থ-সম্পদ কুক্ষিগত করার চেষ্টা করেননি।
ঢাকা মহানগরের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের বলতে চাই, তাঁরা (দুই প্রয়াত) দেশ, জনগণ ও দলের জন্য কীভাবে আত্মত্যাগ করেছেন, তা থেকে আপনারা শিক্ষা গ্রহণ করুন। তাহলে দল আরও এগিয়ে যাবে। এসব নিবেদিতপ্রাণ নেতার আত্মা শান্তি পাবে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘সবকিছু হারানোর পর আমি ১৯৮১ সালে দেশে ফিরেছিলাম। সত্যি বলতে কি, তখন দলের প্রবীণ নেতারা আমাকে অনেক¯স্নেহ-মমতা দিয়েছেন। সেই সময় রাজনৈতিক জীবন সহজ ছিল না। একদিকে তৎকালীন সরকারের নিপীড়ন সহ্য করতে হয়েছে, অন্যদিকে দলের অভ্যন্তরে অনেক সমস্যা মোকাবিলা করতে হয়েছে। তবে, দলের নেতা-কর্মী যাঁরা বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে ছিলেন, তাঁরা আমার সঙ্গেও ছিলেন। তাঁদের কাছ থেকে আমি সব ধরনের সহযোগিতা পেয়েছি। তাই দল এখন এমন একটি পর্যায়ে পৌঁছেছে।’
ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি কামাল আহমেদ মজুমদারের সভাপতিত্বে স্মরণসভায় আরও বক্তব্য দেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী, ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী, খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ ও জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংসদ শেখ ফজলে নূর, এ কে এম রহমতউল্লাহ, এম এ আজিজের ছেলে ওমর বিন আজিজ প্রমুখ। স্মরণসভা পরিচালনা করেন ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক আবদুল হক।