শুধু নামের কারণেই দিনাজপুর জিয়া হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট সরকারি সাহায্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। প্রতিষ্ঠানের ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে গতকাল বুধবার এক বার্ষিক সাধারণ সভায় সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় সংগঠনের সহসভাপতি এ এইচ এম শফিকুর রহমান এ কথা বলেন।
ওই হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণে গতকাল বেলা ১১টায় অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির সভাপতি ত্বাসীন আক্তার হক।
এর আগে সকাল ১০টায় হাসপাতালের ভিআইপি কনফারেন্স কক্ষে প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে জেলায় কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। সভায় লিখিত বক্তব্য তুলে ধরেন ত্বাসীনআক্তার।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ২৫ বছর আগে তৎকালীন জেলা বিএনপির সভাপতি বেগম খুরশীদ জাহান হকের নেতৃত্বে জেলার স্বেচ্ছাসেবী ব্যক্তিদের সহযোগিতায় দিনাজপুর জিয়া হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালঅ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট প্রতিিষ্ঠত হয়। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটি শুধু দিনাজপুর নয়, দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের ২৪টি জেলার হৃদ্রোগীদের প্রধান আস্থা ও নির্ভরশীলতার জায়গা। বর্তমানে স্বেচ্ছাসেবীদের অনুদানে ২৮ হাজার ৫০০ বর্গফুট আয়তনের হাসপাতালের তৃতীয় তলার নির্মাণকাজ চলছে।
ওই হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এ কে এম আজাদ বলেন, ৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালটিতে ২০১৪ সালের ১ জুলাই থেকে ২০১৬ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত বহির্বিভাগে ২৬ হাজার ৭২৭ জন রোগীকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে ৪৫০ জন রোগীর করোনারি এনজিওগ্রাম, ১৯ জনের পেরিফেরাল এনজিওগ্রাম, ৮৩ জনের পেরিফেরাল এনজিওপ্লাস্টি, ৪৭ জনের অস্থায়ী পেসমেকার ও ২১ জনের স্থায়ী পেসমেকার স্থাপন করা হয়েছে। এ ছাড়া গত দুই বছরে হাসপাতালে সফল অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ১৩টি ওপেন হার্ট সার্জাির, সমসংখ্যক ক্লোজড হার্ট সার্জাির, একজনের বাইপাস সার্জাির, দুজনের ভাল্ভ প্রতিস্থাপন, নয়জনের ক্যাথেটারাইজেশন অস্ত্রোপচার ও ৫১ জন হৃদ্রোগীর ভাসকুলার সার্জািরসহ নানাবিধ সার্জাির হয়েছে।
বর্তমান সরকারের আমলে হাসপাতালটির সরকারি অনুদান প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ এইচ এম শফিকুর রহমান বলেন, দিনাজপুরের রাজনীতিক হিসেবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান ও জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিমের আন্তরিকতার সীমা নেই। কিন্তু বিভিন্ন প্রকল্প তৈির করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে সাহায্যের আবেদন করা হলেও শুধু নামের কারণে সরকারি সাহায্য পাওয়া যায়নি।
ত্বাসীন আক্তার প্রতিষ্ঠানটি আরও শক্ত ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত করতে দলমত-নির্বিশেষে সবার সহযোগিতা কামনা করেন।
সভায় উপস্থিত ছিলেন হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সহসভাপতি আফতাব উদ্দিন আহমেদ মণ্ডল, যুগ্ম সম্পাদক এস এম খালেকুজ্জামান, কোষাধ্যক্ষ মো. আবেদুর রহমান, নির্বাহী সদস্য রেজিনা ইসলাম, হাসনাইন আক্তার হক, মো. আবু তাহের, জামিল আহমেদ, মো. খালেকুজ্জামান, মো. তারেজুল ইসলাম, আলহাজ মো. আবু বক্কর সিদ্দিক প্রমুখ।