Thank you for trying Sticky AMP!!

পদ্মা সেতুতে খরচের চেয়ে বেশি টোল আদায় হবে: অর্থমন্ত্রী

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল

পদ্মা সেতু তৈরি করতে যত খরচ হয়েছে, তার চেয়ে বেশি পরিমাণ টোল আদায় করা হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। বৃহস্পতিবার সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি ও অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।

অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে ভার্চ্যুয়াল প্ল্যাটফর্মে অনুষ্ঠিত হয় মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক। এতে তিনি বলেন, পদ্মা সেতু থেকে পূর্ণমাত্রায় টোল আদায় করা হবে। অন্যান্য প্রকল্প থেকেও টোল আদায় করা হয়েছে। এখান থেকেও টোল আদায় করা হবে। শুধু টোল আদায় হবে না, মুনাফাও হবে। এ প্রকল্পের জন্য যে পরিমাণ খরচ হয়েছে, তার চেয়ে বেশি অর্জন করা হবে। সারা বিশ্ব তা–ই করে।

৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের পদ্মা সেতুর খুঁটির (পিলার) সংখ্যা ৪২টি। এসব খুঁটির ওপর স্প্যান যুক্ত করা হয়েছে। সেতুটির নির্মাণ ব্যয় ৩০ হাজার কোটি টাকারও বেশি।

তবে টোলের পরিমাণ এখনো নির্ধারিত হয়নি বলে জানান অর্থমন্ত্রী। বলেন, ‘আমরা একটা কথা সুস্পষ্টভাবে বলতে চাই যে সারা বিশ্বে এ ধরনের প্রকল্প টোলভিত্তিকই করা হয়। টোল আদায় না হলে এগোনো যাবে না। কারণ, সেতু সংরক্ষণ করতে হবে। আবার একটা প্রকল্প থেকে আরেকটা প্রকল্প করতে হবে। একটা সেতু থেকে আরেকটা সেতু করতে হবে। এ জন্য রাজস্বের দরকার হবে।’

পদ্মা সেতু চালু হতে বিলম্ব হওয়া নিয়ে মুস্তফা কামাল বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বলেছেন এ বছরের শেষের দিকে পদ্মা সেতু চালু হবে। প্রত্যাশা করে আছি, এ বছরের শেষ নাগাদ এটি চালু করতে পারব। আমাদের অর্থবছর শেষ হবে জুন মাসে। আমরা বিশ্বাস করি, এর মধ্যে এটি চালু করতে পারব।’

পদ্মা সেতুর ব্যয় কত বছরের মধ্যে তোলা সম্ভব—এমন প্রশ্নের জবাবে মুস্তফা কামাল বলেন, এটা নিয়ে বিশদ কাজ হয়নি।

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থা অনেক ভালো এবং শক্তিশালী বলে মন্তব্য করেন মুস্তফা কামাল। তিনি বলেন, ‘গোটা বিশ্ব বলছে, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থা অনেক শক্তিশালী। যেসব দেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) তুলনায় ঋণের পরিমাণ বেশি, তারা বর্তমানে সবচেয়ে বেশি বিব্রত। তারা বিপদে আছে। বাংলাদেশ সে ধরনের বিপদে নেই। বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্থনীতির কোনো একটি দিক খুঁজে বের করতে পারবেন না, যেগুলো পর্যালোচনা করে বুঝব সামনের দিনগুলো ভালো নয়।’

শ্রীলঙ্কার সঙ্গে বাংলাদেশের তুলনা প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, ‘এ আলোচনা তো আমরা করিনি। কেউ যদি আলোচনা করেন, সেটা তাঁদের ব্যাপার। এ আলোচনা আমাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য কি না, তা আপনারাই ভালো বুঝবেন। আপনারা ভালোভাবেই জানেন, আমাদের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ অনেক ওপরে আছে। রাজস্ব আদায় বাড়ছে, রিজার্ভও বাড়ছে। তাহলে সমস্যাটা কোথায়? আমি মনে করি, আমরা নিরাপদ আছি।’