পাহাড়ে শুরু জুম, চাষিদের ব্যস্ততা

বৈশাখ মাস শেষের পথে। জ্যৈষ্ঠের শুরুতে শুরু হবে ধানের বীজ বোনা। তাই পাহাড়ের জুমচাষিদের এখন দম ফেলার ফুরসত নেই। পাহাড়ের জঙ্গল-ঝোপঝাড় পরিষ্কার করে জুম চাষের উপযোগী করে তোলার কাজে ব্যস্ত তাঁরা।
খাগড়াছড়ির প্রতিটি পাহাড়ে এখন ব্যস্ত জুমচাষিরা। সরেজমিন খাগড়াছড়ি সদর, ভাইবোনছড়া ইউনিয়নসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের পাহাড় ঘুরে দেখা যায়, প্রতিটি পাহাড়ে কাজে ব্যস্ত জুমচাষিরা। অনেকে জুম চাষের জন্য জায়গা তৈরি করার পর কলা, হলুদ, আদা রোপণ করছেন। কিছুদিন পর জুমের প্রধান ফসল ধানের বীজ বোনা শুরু হবে।
ভাইবোনছড়া ইউনিয়নের মুনিগ্রাম এলাকার চরনফা ত্রিপুরা বলেন, ‘আমি দুই আড়ি (এক আড়িতে ১০ কেজি) ধানের বীজ বোনার উপযোগী পাহাড় পরিষ্কার করেছি। এখন কলাগাছের চারা রোপণ করছি। জের শুরুতে ধানের বীজ বুনব।’
আলুটিলা পাহাড় এলাকার জুমচাষি নীল বর্ণ ত্রিপুরা বলেন, ঝোপঝাড় পরিষ্কার করা শেষ হলে তিনি হলুদ ও আদা রোপণ করবেন। এরপর ধান রোপণ করবেন। খাগড়াছড়ি সদরের আঘবাড়ি এলাকার মংচিউ মারমা জানান, তিনি একটি পাহাড়ে এ বছর জুম চাষ করছেন। জুমের সঙ্গে তিনি আমের চারাও রোপণ করছেন। জুম চাষ শেষ হলে পাহাড়টি তখন আমবাগানে পরিণত হবে।
খাগড়াছড়ি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালকের কার্যালয় সূত্র জানায়, গত বছর খাগড়াছড়িতে ২ হাজার ১৯৫ হেক্টর জমিতে জুম চাষ করা হয়েছে। এ বছরের হিসাব এখনো পাওয়া যায়নি।