
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন অর্থনৈতিক কূটনীতিতে জোর দিয়ে দেশকে এগিয়ে নিতে পারস্পরিক আস্থা ও সার্বভৌমত্বের জোরালো ভিত্তির ওপর সব বন্ধু দেশের সহযোগিতা ও অংশীদারত্ব চেয়েছেন। তিনি অর্থনৈতিক কূটনীতিকে কাজে লাগিয়ে জনগণের প্রত্যাশা পূরণের আশা রাখেন।
আজ মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা, কর্মচারী ও গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় এ মন্তব্য করেন এ কে আবদুল মোমেন।
আবদুল মোমেন বলেন, ‘আমরা সবার সক্রিয় সহযোগিতা, অংশীদারত্ব চাই। আমরা সবার সমর্থন চাই। বন্ধু রাষ্ট্রগুলোর সহযোগিতাও আমরা চাই।’ তাঁর মতে, ২০২১ সালে মধ্য আয়ের দেশ, ২০৩০ সালে সহস্রাব্দ উন্নয়নের সবগুলো লক্ষ্য অর্জন আর ২০৪১ সালে সোনার বাংলায় পরিণত হওয়াসহ সরকারের একাধিক রূপরেখা রয়েছে। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা যেটা উন্নত, স্থিতিশীল ও অসাম্প্রদায়িক অর্থনীতি। যেখানে ধনী-দরিদ্রের আকাশসম পার্থক্য থাকবে না। যেখানে সব নাগরিকের সমান সুযোগ নিশ্চিত হবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল মোমেন বলেন, ‘কাজটা কিন্তু খুব সহজ নয়। যথেষ্ট চ্যালেঞ্জিং। তবে আমরা এগুলো অর্জন করতে পারব। যদি সবাই মিলে চেষ্টা করি তবে পারব। আমাদের এসব অর্জনে সবার একান্ত সহযোগিতা ও সক্রিয় উদ্যোগ দরকার, সেটা আশা করব। বন্ধু যত রাষ্ট্র আমরা তাদেরও সহযোগিতা কামনা করব। সেই অংশীদারত্ব হতে হবে জোরালো ভিত্তির ওপর। আমাদের আস্থা আর সার্বভৌমত্বের ভিত্তিতে। আমরা সেই ভিত্তিতে অংশীদারত্ব এগিয়ে নেব।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমি যখন জাতিসংঘে ছিলাম তখন আমরা সেখানে কোনো ভোটে পরাজিত হয়নি। এর অন্যতম কারণ হলো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ ও পররাষ্ট্র নীতি “সবার সাথে বন্ধুত্ব, কারোর সাথে বৈরিতা নয়” আমরা গ্রহণ করেছিলাম।’ তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী আঞ্চলিক সহযোগিতা জোরদারে গুরুত্ব দিয়েছেন। এই সহযোগিতা এগিয়ে নেওয়া হবে। এ ছাড়া সরকারের বিভিন্ন রূপরেখা অর্জনের জন্য দেশি–বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ানোর ওপর জোর দেবেন তিনি।
আবদুল মোমেন বলেন, ‘আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অর্থনৈতিক কূটনীতি বাড়ানোর জন্য বিশেষ একটা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সারা দুনিয়াতে এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের জনগণের প্রত্যাশা পূরণের আশা রাখি।’ তিনি জানান, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অনেক বছর ধরে অত্যন্ত সম্মানের সঙ্গে তাদের ভূমিকা পালন করছে। মন্ত্রণালয়ের এই ইতিহাস, ঐতিহ্য অক্ষুণ্ন রাখা হবে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ওই মতবিনিময় অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, পররাষ্ট্রসচিব মো. শহীদুল হকসহ মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।