রোগীদের জন্য ব্যবস্থাপত্রের (প্রেসক্রিপশন) লেখা সহজবোধ্য করতে তা স্পষ্টভাবে বা বড় হরফে বা ছাপার হরফে দিতে চিকিৎসকদের প্রতি নির্দেশনা দিয়ে ৩০ দিনের মধ্যে সার্কুলার জারির নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। স্বাস্থ্যসচিব ও বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) রেজিস্ট্রারের প্রতি এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গতকাল সোমবার রুলসহ এ আদেশ দেন। নির্দেশনা বাস্তবায়নের অগ্রগতি ছয় সপ্তাহের মধ্যে স্বাস্থ্যসচিব ও বিএমডিসির রেজিস্ট্রারকে দাখিল করতে বলা হয়েছে।
‘ভুল ওষুধ গ্রহণের ঝুঁকিতে রোগীরা’ শিরোনামে গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর একটি দৈনিকে প্রতিবেদন ছাপা হয়। এটি যুক্ত করে মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে দুই আইনজীবী এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চেয়ে ২ জানুয়ারি রিট আবেদনটি করেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোখলেছুর রহমান।
রুলে রোগীদের জন্য স্পষ্টভাবে বড় হরফে বা ছাপানো আকারে কর্মরত চিকিৎসকদের মাধ্যমে ব্যবস্থাপত্র দিতে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে বিবাদীদের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না এবং ব্যবস্থাপত্রে জেনেরিক (উপাদানের নাম) নাম উল্লেখ করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্যসচিব, বিএমডিসির রেজিস্ট্রার, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) সেক্রেটারিসহ বিবাদীদের চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
পরে আইনজীবী মনজিল মোরসেদ প্রথম আলোকে বলেন, ব্যবস্থাপত্রে অস্পষ্ট লেখার কারণে নানা ধরনের জটিলতা তৈরি হয়। অস্পষ্টতার কারণে রোগীরা তা বুঝতে পারেন না, ফার্মেসির বিক্রেতারাও বুঝতে পারেন না। অনেক ক্ষেত্রে ভুল ওষুধ দেওয়া হয়। ফলে রোগীরা স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়েন। এ জন্য ব্যবস্থাপত্র স্পষ্টভাবে ও জেনেরিক নাম উল্লেখ করে লেখা দরকার। এসব যুক্তিতে রিটটি করা হয়।