Thank you for trying Sticky AMP!!

বাংলাদেশিদের ভুটান ভ্রমণে খরচ বাড়ছে

ভুটান। ছবি: রয়টার্স

ভুটানে বেড়াতে গেলে এর পর থেকে আর আগের মতো পর্যটন শুল্কে ছাড় পাবেন না বাংলাদেশিরা। শুধু বাংলাদেশিরা নয়, এই তালিকায় ভারতীয়রাও আছেন। মালদ্বীপও এর বাইরে থাকছে না।এই লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই একটি নতুন খসড়া নীতি তৈরি করে ফেলেছে ভুটানের পর্যটন মন্ত্রণালয়। আগামী মাসে ভুটান মন্ত্রিসভা সবুজ সংকেত দিলেই এই আইন কার্যকর হবে।

পৃথিবীতে পর্যটকদের যেসব দেশে সবচেয়ে বেশি মাশুল দিতে হয়, ভুটান তার মধ্যে অন্যতম। আন্তর্জাতিক পর্যটকদের দিনে বিভিন্ন ফি বাবদ ২৫০ ডলার ব্যয় করতে হয়। এর মধ্যে ৬৫ ডলার সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট ফি এবং ৪০ ডলার ভিসা প্রসেসিং ফি। এত দিন আঞ্চলিক অর্থাৎ ভারতীয় ও বাংলাদেশি পর্যটকদের কিছুই দিতে হতো না। কিন্তু এখন থেকে আঞ্চলিক পর্যটকদের মাথাপিছু দিনপ্রতি ১০৫ ডলার বেশি দিতে হবে। ইকোনমিক টাইমস সূত্রে এই খবর পাওয়া গেছে।

অন্যদিকে, সম্প্রতি ভুটান পর্যটন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, পর্যটকদের উচ্চমানের পরিষেবা দেওয়াই এই নীতি পরিবর্তনের অন্যতম কারণ। গত ১০ বছরে পর্যটকদের সংখ্যা প্রায় ১০ গুণ বেড়ে যাওয়ায় পরিষেবার মান রক্ষা করা যাচ্ছিল না দাবি করেছে তারা।

পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৮ সালে মোট ২ লাখ ৭৪ হাজার পর্যটক ভুটানে যান। তাঁদের মধ্যে অন্তত ২ লাখই ছিল ভারত, বাংলাদেশ এবং মালদ্বীপ থেকে। তার মধ্যে আবার ভারতীয়দের সংখ্যাই সবচেয়ে বেশি। কমপক্ষে ১ লাখ ৮০ হাজার। পর্যটন শুল্কে ছাড়ই এর মূল কারণ বলে দাবি করেছে দেশটির পর্যটন মন্ত্রণালয়।

জলবিদ্যুতের পর পর্যটনই ভুটানে রাজস্বের সবচেয়ে বড় খাত। ভুটান সরকারের এক প্রতিনিধি ভারতীয় পত্রিকা বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে জানিয়েছেন, পর্যটন নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের চোখে ধুলো দিয়ে তিন প্রতিবেশী দেশ থেকে আসা পর্যটকদের অত্যন্ত কম দামে ঘর ভাড়া দেয় কয়েকটি সংস্থা। এই ধরনের বেআইনি ‘গেস্ট হাউস’ এবং ‘হোম স্টে’ পরিষেবা বন্ধ করার বিষয়টিও এই নতুন নীতি প্রণয়নে পেছনে বিবেচনা হিসেবে কাজ করেছে বলে জানান তিনি।

বাংলাদেশ ও মালদ্বীপের বেলায় ব্যাপারটা মাশুলের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলেও ভারতের বেলায় এর কিছুটা রাজনৈতিক রূপ আছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকেরা। বছর খানিক আগে ডোকালামে ভারতীয় ও চীনা সেনাবাহিনীর মুখোমুখি অবস্থানের কারণে ভুটানের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কে কিছুটা সন্দেহের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে। ফলে এর একটা রাজনৈতিক কারণ আছে বলেও ধারণা করা হচ্ছে। অর্থাৎ ভারতীয় পর্যটক কমাতে এই সিদ্ধান্ত।

তবে এই সিদ্ধান্তে ভুটানের পর্যটক কমে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন অনেকে।