ঢাকার তিন আসনে বিএনপি

বাবার আসনে ছেলে

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকার ছেলে ইশরাক হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমানের ছেলে ইরফান ইবনে আমান অমি ও সাবেক সাংসদ এস এ খালেকের ছেলে এস এ সিদ্দিক দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন।

দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত সাদেক হোসেন খোকা দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। শারীরিকভাবেও তিনি অসুস্থ। বাবার অনুপস্থিতিতে ঢাকা–৬ আসন থেকে দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন ইশরাক হোসেন।

ইশরাক হোসেন যুক্তরাজ্যের একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়ালেখা করেছেন। লন্ডনে থাকাকালে তিনি জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের যুক্তরাজ্য শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। প্রায় তিন বছর আগে তিনি দেশে ফেরেন।

মনোনয়ন পাওয়ার পর গতকাল তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ইশরাক হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘মনোনয়ন পাওয়ার খবরে আনন্দিত হওয়ার কোনো কারণ দেখি না। আমাদের দল খুব কঠিন সময় পার করছে। এ অবস্থায় দল আমার ওপর আস্থা রাখায় দায়িত্ব আরও বেড়ে গেল। এই আস্থার প্রতিদান দেওয়ার বিষয়টি এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে ভোটের মাঠে থেকে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে চাই।’

এদিকে দুর্নীতি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত সাবেক প্রতিমন্ত্রী আমান উল্লাহ আমান ২০০৮–এর নির্বাচনে অংশ নিতে পারেননি। এবার তাঁকে ঢাকা-২ আসন থেকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। কিন্তু গতকাল মঙ্গলবার দুর্নীতির দায়ে বিচারিক আদালতের দেওয়া দণ্ড ও সাজা ভোগ স্থগিত চেয়ে আমানসহ বিএনপির পাঁচ নেতার করা এক আবেদন উচ্চ আদালত খারিজ করে দেন। আদেশে বলা হয়, নিম্ন আদালতে দুই বছরের বেশি সাজা হলে আপিল বিচারাধীন থাকা অবস্থায় কোনো ব্যক্তি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। এতে আসন্ন নির্বাচনে আমান উল্লাহ আমানের অংশগ্রহণের বিষয়টি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থায় একই আসন থেকে মনোনয়ন ফরম কেনা আমানের ছেলে ইরফান ইবনে আমানকেও দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।

ইরফান আমান ঢাকা জেলা বিএনপির সহসভাপতি।

এদিকে পাঁচবারের সাংসদ এস এ খালেক শারীরিক অসুস্থতার কারণে এবার সংসদ নির্বাচন করতে পারছেন না। তাঁর জায়গায় এবার বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন ছেলে এস এ সিদ্দিক। বাবার জায়গায় নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘১৯৭৯ সালে আমার বাবা যখন প্রথমবারের মতো সংসদ নির্বাচনে অংশ নেন, তখন আমি চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র। এক অর্থে আমার রাজনীতি–সংশ্লিষ্টতার শুরু তখন থেকেই। এর আগে বাবার সঙ্গে থেকে নেপথ্যে অনেক কাজ করেছি। এবার ভোটের মাঠে লড়াইয়ের সুযোগ সরাসরি এসেছে। এলাকার সবাই, বিশেষ করে তরুণদের সঙ্গে নিয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের এই লড়াইয়ে জয়ী হতে চাই।’

এস এ সিদ্দিক দারুস সালাম থানা বিএনপির জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি। পাশাপাশি তিনি আবাসন ব্যবসার সঙ্গে জড়িত।