
যেকোনো অন্যায়ে প্রতিবাদ করা দরকার। সমাজে শিশু-নারী ধর্ষণ ও হত্যার কারণ অনুসন্ধান করতে হবে। মানুষ কেন দানবে পরিণত হচ্ছে তার পেছনে সামাজিক, পরিবেশগত ও রাসায়নিক প্রভাবগুলো খুঁজে বের করতে হবে।
আজ রোববার শাহবাগের জাতীয় জাদুঘরের সামনে শিশু-নারী নির্যাতন বন্ধের দাবিতে লেখক-শিল্পী-সাংস্কৃতিক কর্মী ব্যানারে বিক্ষোভ সমাবেশে স্থপতি সাঈদা সুলতানা এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘আমিও মা, আমারও মেয়ে আছে। সন্তানের নিরাপত্তায় আমি রাজপথে প্রতিবাদ জানাতে এসেছি। সমাজের মানুষের মধ্যে কেন বিকৃত মানসিকতার মানুষের জন্ম হচ্ছে, তার মূল খুঁজতে হবে।’
সমাবেশে লেখক-প্রকাশক রবীন আহসান বলেন, ‘বাংলাদেশ একটা অমানবিক দেশে পরিণত হয়েছে। দেশে প্রতিবাদ করার মানুষ কমে যাচ্ছে। দিনাজপুরের ইয়াসমিন ধর্ষণ-হত্যার প্রতিবাদে সারা দেশ যেভাবে ফুঁসে উঠেছিল, সে রকম এখনো উত্তাল হওয়া দরকার। আমরা সকলে মিলে শিশুদের বাঁচাতে চাই। পপুলারে ডিজিটালভাবে নারীদের হয়রানি করা হচ্ছে। তাদের আটক করে আইনের আওতায় আনতে হবে।’
সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ও কবি সাঈদা বেগম বলেন, ‘একাত্তরে দেশের প্রয়োজনে যুদ্ধে গিয়েছিলাম। পত্রিকায় দেখে নিজ তাড়নায় আজকের এ প্রতিবাদ সমাবেশে এসেছি। আইনজীবী হিসেবে বলতে চাই, ধর্ষণ মামলা চলাকালে যাতে আসামিদের জামিন না হয়ে যায়। কারণ তাঁরা জামিন পেয়ে মামলাকারীদের মামলা তুলে নিতে বলে, এমনকি হত্যার হুমকি দেয়। তাই বিচারকাজ শেষ করতে হবে।’
পথশিশুদের নিয়ে কাজ করা সংগঠন ‘এক রঙা এ ঘুড়ি’র পক্ষ থেকে নীল সাধু বলেন, ‘শিশুদের ধর্ষণের ঘটনায় পুরুষ হিসেবে, মানুষ হিসেবে লজ্জাবোধ করি। ধর্ষণ প্রতিরোধে আমাদের রুখে দাঁড়াতে হবে। শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে।’
আন্দোলনকর্মী শামীম আরা নিপা বলেন, ‘সব ধরনের নির্যাতনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। কারণ, এটা প্রত্যেক মানুষে ঘরের নিরাপত্তারও প্রশ্ন। আমরা শৈশব থেকে শিশুদের মধ্যে নারী-পুরুষ নিয়ে বৈষম্য শেখাই। এভাবে ধর্ষক জন্ম নেয়।’
ইফতেখার আহমেদ সমাবেশ সঞ্চালনায় সমাবেশে সংহতি জানান লেখক অদিতি ফাল্গুনী, সাংস্কৃতিক কর্মী সঙ্গীতা ইমাম, লেখক ও আন্দোলনকর্মী রাখাল রাহা, আন্দোলনকর্মী জাকিয়া শিশির, আইনজীবী হাসনাত কাইয়ুম, রকীব পারভেজ, লেখক-সাংবাদিক আকরামুল হক, সামাজিক সংগঠন ‘পরিবর্তন চাই’-এর দিদারুল ইসলাম প্রমুখ।