পাঠ্যক্রমে মাদ্রাসা শিক্ষা নেই। তারপরও ৮৫ বছর ধরে রাজশাহী সরকারি মাদ্রাসা নামে চলছে রাজশাহীর প্রাচীনতম একটি সরকারি বিদ্যালয়। তাই নাম পরিবর্তনের দাবিতে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা গতকাল মঙ্গলবার মানববন্ধন করেন।
নগরের সাহেব বাজার জিরো পয়েন্টে সকাল ১০টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত এ কর্মসূচি পালন করা হয়। এ সময় কয়েকজন শিক্ষার্থী ও অভিভাবক বক্তব্য দেন।
শিক্ষার্থীরা বলে, সনদপত্রে মাদ্রাসা লেখা থাকায় অন্য জায়গায় ভর্তি হতে গিয়ে তারা বিব্রতকর অবস্থায় পড়ে। নামের কারণে ভালো শিক্ষার্থীরা এখানে ভর্তি হতে তেমন আগ্রহী হয় না। অনেক ভালো শিক্ষকও এই প্রতিষ্ঠানে থাকতে চান না। অবিলম্বে এই নাম পরিবর্তন করার দাবি জানান তাঁরা।
রাজশাহী সরকারি মাদ্রাসার দাপ্তরিক কর্মকর্তারা বলেন, ১৮৭৪ সালে ‘রাজশাহী সরকারি মাদ্রাসা’ প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৩০ সাল পর্যন্ত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে এতে মাদ্রাসা পাঠ্যক্রম চালু ছিল। মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড ঢাকা প্রতিষ্ঠিত হলে ১৯৩১ সালে এটি ঢাকার অধীনে চলে আসে। তখন থেকে মাদ্রাসার পাঠ্যক্রম বাদ দিয়ে এখানে সাধারণ শিক্ষা পাঠ্যক্রম চালু করা হয়। কিন্তু মাদ্রাসা নামটি থেকে যায়।
প্রতিষ্ঠানটি একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় হলেও আগের নিয়ম অনুযায়ী এখানে মহাবিদ্যালয়ের মতো একজন অধ্যক্ষ আছেন। অধ্যক্ষ আফজাল হোসেন বলেন, বেশ কয়েকবার নামটি পরিবর্তনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। মাদ্রাসার কোনো পাঠ্যক্রম না থাকলেও নামটির সঙ্গে ধর্মীয় অনুভূতি জড়িয়ে আছে। সে জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় স্থানীয় সুধী সমাজের একটি মতামত নেওয়ার পরামর্শ দেয়। তিন বছর আগে সমাজের সুধীদের নিয়ে একটি মতবিনিময় সভা করা হয়। সবাই মাদ্রাসার নামটি ‘হাজী মুহম্মদ মহসীন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়’ করতে সম্মত হয়েছেন। এত দিন পরেও নামটি পরিবর্তন না করায় শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নেমেছে।