Thank you for trying Sticky AMP!!

মধুখালীতে অ্যাম্বুলেন্সে বসে লুশির পরীক্ষা

পরীক্ষা কেন্দ্র চত্বরে গতকাল অ্যাম্বুলেন্সে বসে পরীক্ষা দেন লুশি আক্তার। ছবি: প্রথম আলো

ফরিদপুরের মধুখালীতে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত লুশি আক্তার গতকাল সোমবার অ্যাম্বুলেন্সের ভেতরে বসে এইচএসসি পরীক্ষা দিয়েছেন। তিনি গতকাল মধুখালী পাইলট উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে ইংরেজি দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষা দেন।

লুশি মধুখালী উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের গোপালদী গ্রামের মোতালেব হোসেন ব্যাপারীর মেয়ে। দুই ভাই ও এক বোনের মধ্যে লুশি বড়। তিনি উপজেলার শুকুর মামুদ স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে ব্যবসায় শিক্ষা বিষয়ে এইচএসসি পরীক্ষা দিচ্ছেন। গত রোববার বিকেলে বাড়ির সামনে গোপালদী-বেলেশ্বর আঞ্চলিক সড়কে হাঁটাহাঁটি করছিলেন লুশি। তখন বেপরোয়া গতির একটি নছিমন তাঁকে ধাক্কা দেয়। তিনি সড়কের ওপর পড়ে গিয়ে মাথায় ও পায়ে আঘাত পান। তাঁকে দ্রুত ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। গতকাল পরীক্ষা দিতে না পারলে তাঁর একটি বছর নষ্ট হয়ে যেত। তাই আহত অবস্থায় পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন লুশি। এর পরিপ্রেক্ষিতে তিনি নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ নাজির হোসেনের অ্যাম্বুলেন্সে বসে পরীক্ষা দেওয়ার আবেদন করেন। এই আবেদনে সাড়া দিয়ে ব্যবস্থা নেন মধুখালী পাইলট উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রসচিব ও মধুখালী সরকারি আয়েনউদ্দিন কলেজের অধ্যক্ষ নাজমুল হক।

সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত অ্যাম্বুলেন্সের মধ্যে বসে ইংরেজি দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষা দেন লুশি। পরীক্ষার পর সন্তোষ প্রকাশ করে লুশি বলেন, ‘আগে পড়াশোনা ভালো করেছি। পরীক্ষাও ভালো হয়েছে। এভাবে পরীক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা করা না হলে আমার জীবন থেকে একটি বছর নষ্ট হয়ে যেত।’

মধুখালী সরকারি আয়েনউদ্দিন কলেজের অধ্যক্ষ নাজমুল হক বলেন, ‘পরীক্ষার ব্যাপারে লুশির অদম্য স্পৃহা আমাকে মুগ্ধ করেছে। আমার বিশ্বাস, মনের এ জোর থাকলে অনেক ওপরে উঠতে পারবে লুশি।’