বিজয়া দশমীর মাধ্যমে গতকাল রোববার শেষ হলো মাগুরার ঐতিহ্যবাহী কাত্যায়নী পূজা। পাঁচ দিনব্যাপী এ পূজা শেষ হলেও প্রতিমা বিসর্জন হবে আজ সোমবার। এ উপলক্ষে আয়োজিত মেলা চলবে এক মাস।
জেলা পূজা উদ্যাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক বাসুদেব কুন্ডু প্রথম আলোকে বলেন, মাগুরা শহরে ছয়টিসহ জেলায় মোট ৬২টি কাত্যায়নী পূজা অনুষ্ঠিত হয়।
তবে কবে থেকে এ পূজা উদ্যাপন শুরু হয়েছে তাঁর সঠিক ইতিহাস কেউ বলতে পারে না। শহরের জামরুলতলা পূজা কমিটির সভাপতি পঙ্কজ কুন্ডু বলেন, মাগুরায় এ পূজার প্রচলন ৭০-৮০ বছরের আগে থেকে। তবে জাঁকজমকপূর্ণভাবে আয়োজন শুরু হয়েছে দুই দশক আগে।
দুর্গাপূজার ঠিক এক মাস পর কাত্যায়নী পূজা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিবছরের মতো এবারও পূজামণ্ডপ এলাকায় তৈরি করা হয় দৃষ্টিনন্দন সব তোরণ।
পূজামণ্ডপসহ সংশ্লিষ্ট এলাকা ব্যতিক্রমী অপূর্ব আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হয়। বিশ্বের ঐতিহাসিক মন্দির ও ভবনের অনুকরণে দেশ-বিদেশের খ্যাতনামা কয়েক শ পটুয়া শিল্পী ও শ্রমিকেরা প্রায় মাস ধরে অক্লান্ত পরিশ্রমে গড়ে তোলেন এসব তোরণ, মণ্ডপ, প্যান্ডেল ও কাত্যায়নী প্রতিমাগুলো।
মূলত বিকেল থেকে দর্শনার্থীরা এসব জায়গায় ভিড় করতে শুরু করেন। এর পর সারা রাত দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখর হয়ে ওঠে পূজা মণ্ডপগুলো।
মাগুরার তরুণ ডেকোরেটরের স্বত্বাধিকারী তরুণ ভৌমিক বলেন, এবার পূজায় ডিজিটাল লাইটিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়। বিভিন্ন থিমনির্ভর লাইটিং করা হয়।
শহরের নতুন বাজার ছানাবাবুর বটতলা পূজা কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিকাশ সাহা বলেন, এ বছরের আয়োজন বিগত সব বছরগুলোর তুলনায় বড় ছিল।
এ উপলক্ষে আয়োজিত মাসব্যাপী মেলায় সুই-সুতা থেকে শুরু করে সব ধরনের জিনিস পাওয়া যায়। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে দোকানিরা তাঁদের পসরা সাজিয়ে বসেন। দোকানগুলোতেও সাজসজ্জা করা হয়। মেলায় নানা বিনোদনের ব্যবস্থাও থাকে।
পুজোৎসব উপলক্ষে ব্যাপক নিরাপত্তাব্যবস্থা নেয় পুলিশ প্রশাসন। সহকারী পুলিশ সুপার সুদর্শন রায় বলেন, পূজায় নিরাপত্তা দিতে মোট ৪০০ পুলিশ নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন। এ ছাড়া ভ্রাম্যমাণ ও সাদাপোশাকের পুলিশ ছিল। প্রতিটি পূজামণ্ডপে সিসি ক্যামেরা বসানো হয়।